জগন্নাথপুরে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি, ৪৫ টি স্কুল বন্ধ

0
789
blank
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। প্রতিদিন বন্যার পানি বেড়েই চলেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে এবার উঁচু এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল তলিয়ে পৌর শহরে আক্রমন করেছে। ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সরজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলা ভূমি অফিস। অফিসের সামনে পানি থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসে আসা লোকজন।
যদিও বিগত প্রায় এক সপ্তাহ টানা বৃষ্টিপাতের পর অবশেষে ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সূর্য্যরে দেখা মিলেছে। এতে বন্যা কবলিত মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। তবে বন্যা পরিস্থিতি ¯^াভাবিক হয়নি। পানি বেড়েই চলেছে। সূর্য্যরে দেখা পেয়ে মানুষের মনে আশা জেগেছে। এভাবে যদি আরো ২/১ দিন প্রখর রোদ থাকে, তাহলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে পানিবন্দি অসহায় লোকজন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে-অকাল বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, বন্যায় এ পর্যন্ত ১১ হেক্টর আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে। এছাড়া ৮ হেক্টর আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন. বন্যায় মোট ২৫০টি মৎস্য ফিসারি তলিয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মাছ বেরিয়ে গেছে। জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, বন্যার কারণে এ পর্যন্ত ৪৫টি স্কুলের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া সরকারিভাবে পানিবন্দি মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।