জগন্নাথপুরে মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে বাধা, এলাকায় উত্তেজনা

0
491
blank
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: জগন্নাথপুরে একটি মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদানের ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বিগত ২০১২ সালে জগন্নাথপুর পৌর শহরের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব ছমরু আলী তাঁর ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামে ‘শাহিদাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেন। এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকায় দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে অগ্রনী ভূমিকা রেখে চলেছে।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছমরু আলী দেশে ফিরে গত ১৩ মার্চ মাদ্রসার শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুবিধার্থে ও বার্ষিক জলসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য মাদ্রাসার সামন মাটি ভরাট করে মাঠ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ সময় এখানে সড়কের খাল রকম কিছু সরকারি জায়গা রয়েছে বলে প্রবাসীর সাথে পূর্বের রাস্তা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে গ্রামের লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে গ্রামের কিছু লোক মাটি ভরাট কাজে বাধা দিলে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে দিন ভর উত্তেজনা থাকলেও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তখন গ্রামের লুৎফুর পক্ষের উত্তেজিত লোকজন মাদ্রাসার নেইম ফলক আলকাতরা দিয়ে মুছে ফেলে এবং প্রবাসী ছমরু আলীর জায়গা জবর দখলের জন্য শেরপুর পঞ্চায়েতি কবরস্থান ও শেরপুর উন্নয়ন যুব সংঘ নামে দুইটি সাইনবোর্ড বসানো হয়। পরে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গত ১৪ মার্চ মাদ্রাসার সামনে থাকা সরকারি জায়গা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন প্রবাসী ছমরু আলী। গত ১৩ মার্চ প্রবাসী ছমরু আলী নিরাপত্তা চেয়ে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট পৃথক আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেরপুর গ্রামের মৃত আজমান উল্লার ছেলে লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চক্র প্রবাসী ছমরু আলীর কাছে নানা অজুহাতে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করছে। এছাড়া গত ৩০ মার্চ শেরপুর গ্রামের সরকারি খাল রকম জমি বিভিন্ন মালিকদের কবল থেকে উদ্ধার করতে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কাছে আরেকটি আবেদন করেন প্রবাসী ছমরু আলী। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার জগন্নাথপুর ভূমি অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারি জমি চিহিৃত পূর্বক স্বেচ্ছায় দখলমুক্ত করার জন্য মালিকদের সতর্ক করা হয়।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, সরকারি খাল আমি কাউকে দখল রাখতে দেবো না। তাই সরকারি জায়গা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব ছমরু আলী জানান, এলাকার শিক্ষা বিস্তারে ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখাপাড়া করার জন্য আমি একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেছি। অথচ লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চক্র বিভিন্নভাবে মাদ্রাসার উন্নয়নে বাধাসহ আমার ক্ষতি করতে উঠেপরে লেগেছে। আমি তাদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।