জগন্নাথপুরে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতার মনোনয়ন বাণিজ্য

0
483
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম কয়ছর আহমদের বিরুদ্ধে আসন্ন জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক ধানের শীষ প্রদানে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টিতে বিএনপি ও ২ টিতে তাদের শরীক দল জমিয়তের প্রার্থী মনোনীত করা হয়। কয়েক দিন আগে ৪ ইউনিয়নের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও বাকি ৩ ইউনিয়নের গত রোববার রাতে ঢাকার নির্বাচন বোর্ডের সিদ্ধান্তে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী বাছাই নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে।

জগন্নাথপুর উপজেলার ১ নং কলকলিয়া ইউনিয়নে বিএনপির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী জাবেদ আলম কোরেশী দলের একজন সক্রিয় কর্মী ও সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রার্থী। বিগত নির্বাচনে তিনি হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্ধিতা করায় এলাকায় তাঁর শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। এবারের নির্বাচনে তাঁকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ প্রদান করা হলে তিনি সহজে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল। অথচ মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে সেই জনপ্রিয় ব্যক্তি জাবেদ আলম কোরেশীকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে নতুন মুখ যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক মিয়াকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ প্রদান করা হয়েছে বলে স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলার ২ নং পাটলি ইউনিয়নে হারুন মিয়াকে বাদ দিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফু মিয়াকে ও ৫ নং চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খসরুকে বাদ দিয়ে আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুর রবকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ প্রদান করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে জানান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা এম কয়ছর আহমদ ক্ষমতার দাপটে যুক্তরাজ্যে বসে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন। তাঁর ইশারায় বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থানীয় দলীয় চেয়ারম্যান প্রাথী দের বাদ দিয়ে শুধু যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রার্থীদের মনোনীত করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দলীয় প্রতীক বঞ্চিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাবেদ আলম কোরেশী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলে আমার অনেক গ্রহন যোগ্যতা ও এলাকায় সর্বাধিক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও আমি মনোয়ন বাণিজ্যের টাকার কাছে হেরে গেছি। আমাকে দলীয় প্রতীক না দেয়ায় স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী এবং আমার ভোটার-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। এবার আমাকে দলীয় প্রতীক দেয়া হলে আমি অনায়াসে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল। কিন্তু মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে আমার উপর অবিচার করা হয়েছে।