জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পূর্ব বিরোধের কারণে একটি গ্রামীণ রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় ছাত্রছাত্রীসহ জনতা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা গ্রামে।
জানাগেছে, খাশিলা গ্রামের সিপন মিয়া ও মাহতাব মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের গত শনিবার সিপন মিয়া পক্ষের লোকজন মাহতাব মিয়ার বাড়ির চলাচলের রাস্তা বাঁশের ভেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।
এতে মাহতাব মিয়ার বাড়িতে থাকা ব্র্যাক স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ ৫ টি পরিবারের লোকজন জিম্মি হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তারা বাড়ির পিছনে থাকা নদীতে সাঁতার কেটে চলাচল করছেন বলে ভূক্তভোগীরা জানান। এ ঘটনায় মাহতাব মিয়া বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেলেও কোন সমাধান হয়নি।
সোমবার সরজমিনে দেখা যায়, মাহতাব মিয়ার বাড়ির রাস্তা বাঁশের ভেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় তাদের বাড়িতে কোন মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। এমনকি সাংবাদিকদেরও অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে মাহতাব মিয়ার বাড়িতে যেতে হয়েছে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মাহতাব মিয়া জানান, পূর্ব বিরোধের কারণে সিপন পক্ষের লোকজন ভেড়া দিয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ আমাদের ৫ টি বাড়ির লোকজনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় আমরা এখন চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে নদী সাঁতরে চলাচল করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এটি হচ্ছে গ্রামের পঞ্চায়েতি রাস্তা।
এ রাস্তায় আমরাও মাটি কেটেছি। অভিযুক্ত সিপন মিয়া বলেন, এখানে কোন রাস্তা নেই। এটি হচ্ছে আমার মালিকানা ফিসারির পার। গবাদিপশুর চলাচলে রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে দেখে ভেড়া দিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এতো দিন তারা ভাল আচরণ করেছিল, এখন তারা আমার জায়গা দিয়ে চলাচল করে আবার খারাপ আচরণ করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার এএসআই মশাহিদ আহমদ জানান, রাস্তাটি খোলে দেয়ার বিষয় নিয়ে সামাজিকভাবে নিস্পত্তির চেষ্টা চলছে। এতে কাজ না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।