জগন্নাথপুরে শ্রমিকদের মধ্যে আবারো উত্তেজনা, ধর্মঘটসহ সংঘর্ষের আশঙ্কা

0
961
blank

আলী আছগর ইমন, জগন্নাথপুর: জগন্নাথপুরে আবারো মিনিবাস ও ছোট গাড়ির মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। আবারো ধর্মঘটসহ শ্রমিক আন্দোলন ও বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা বিরাজ করছে।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের ছয়হারা পর্যন্ত লেগুনাসহ ছোট গাড়ি চলাচল বন্ধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ লাইনে চলাচলকারি মিনিবাস শ্রমিক ও ছোট গাড়ির মালিক-শ্রমিকদের বিরোধ চলে আসছে। দেশের প্রধান সড়কগুলোতে এসব ছোট গাড়ি চলাচলে কোন বৈধতা না থাকলেও জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে জগন্নাথপুর থেকে কলকলিয়া পর্যন্ত চলাচল করছে। এ নিয়ে বড় ও ছোট গাড়ির শ্রমিকদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষে সম্প্রতি-জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ এর উদ্যোগে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ উভয় পক্ষের শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জগন্নাথপুর থেকে ছয়হারা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে ছোট গাড়ি চলাচল করবে। পরবর্তীতে সুনামগঞ্জ বিআরটিএ এর অনুমোদন সাপেক্ষে জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে ছোট গাড়ি চলাচল করবে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর মধ্যে গত ২ অক্টোবর সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির (আরটিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তক্রমে রেজ্যুলেশন করা হয় হিউম্যান হলার, অটোটেম্পুসহ ছোট গাড়িগুলো কোন অবস্থায় যাত্রী নিয়ে জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ প্রধান সড়কে চলাচল করতে পারবে না। শুধু জ্বালানী নেয়ার জন্য যাত্রী ছাড়া চলাচল করতে পারবে। তবে অন্যান্য ছোট রাস্তা জগন্নাথপুর থেকে ভূরাখালি, জগন্নাথপুর থেকে চিলাউড়া, জগন্নাথপুর থেকে হায়দরপুর ও কলকলিয়া থেকে তেলিকোনা রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। এ আদেশ বাস্তবায়নে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সুনামগঞ্জের বিআরটিএ এর সহকারি পরিচালক, জগন্নাথপুর থানার ওসি ও সকল পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের বলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এসব রাস্তায় ছোট গাড়ি চলাচলে বড় গাড়ির কোন বাধা নেই। শুধু জগন্নাথপুর থেকে ছয়হারা পর্যন্ত প্রধান সড়কে ছোট গাড়ি চলাচল বন্ধ করলেই সকল বিরোধ নিস্পত্তি হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি নিজামুল করিম জানান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের আদেশ উপেক্ষা করে জগন্নাথপুর থেকে ছয়হারা পর্যন্ত এখনো ছোট গাড়ি চলাচল করছে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জগন্নাথপুর থানার ওসিকে গত ৭ নভেম্বর লিখিতভাবে আবেদন করা হলেও কোন কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে আবারো আন্দোলনে নামতে হবে। এখন আমাদের সমিতির উত্তেজিত শ্রমিকরা যদি মাঠে নেমে এসব ছোট গাড়ি চলাচলে বাধা দিলে আবারো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জানান, জেলা প্রমাসকের কাগজপত্র বড় ও ছোট গাড়ির মালিক এবং শ্রমিকদের প্রদান করা হয়েছে। আমার কাজ ছিল তাদেরকে জানানো। আমি তাই করেছি। এখন তাদের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।