জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের পূনাঙ্গ কমিটি!

0
603
blank
blank

বিশেষ প্রতিনিধি: সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মেয়াদ ছিল ৩ মাস। কিন্তু ১ বছর ৬ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেই প্রস্তুতি কমিটি দিয়েই চলছে আ.লীগের সহযোগি সংগঠন জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগ। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কোনো তোড়জোড় নেই কমিটির নেতৃবৃন্দের। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় বর্তমানে উপজেলা ছাত্রলীগে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছেন নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই। সাহেদ কে সভপতি এবং রুমেন মিয়া কে সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পরে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রীয়া। এই কমিটির মেয়াদ ছিল ৩ মাস। এ সময়ের মধ্যেই সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার দায়িত্ব ছিল কমিটির। কিন্তু ৩ মাসের স্থলে প্রায় ১বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও সম্মেলনের মুখ দেখেননি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে পরে সবার একত্রে গত রমজানে করা হয় কর্মী সম্মেলন কিন্তু এখন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষিত হয়নি। অনেকের আবার ছাত্রত্বও নেই। অনেকেই বিয়ে করেছেন, আবার কেউ কেউ চলে গেছেন প্রবাসে। উপজেলা ছাত্রলীগের প্রস্তুতি কমিটি গঠনের পরপরই ছাত্রলীগ দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তবে ভিতরে ভিতরে তাদের গ্রুপিং থাকলে সম্প্রতি তারা এক অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাভুক্ত ৯টি ইউনিট রয়েছে। আশারকান্দি,কলকলি,পাইলগাও ব্যাতিত আর কোনো ইউ/পি সক্রিয় নয়। দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত না হওয়ায় বর্তমানে উপজেলা ছাত্রলীগে স্থবিরতা বিরাজ করছে। হতাশাকাভোগছেন নেতাকর্মীরা। অনেকেই আবার ক্ষুব্দ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রুমেন বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করতে ত্যাগী ও মাঠের নেতাকর্মিদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা জরুরী। জগন্নাথপুর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্নআহবায়ক মাছুম বলেন, কমিটি না হওয়ায় নেতাকর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছে। কমিটি হলে ছাত্রলীগের প্রাণ ফিরে পাবে। উপজেলা ছাত্রলীগের প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল মুকিত জানান, ত্যাগী নেতাকর্মিদের নিয়ে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা খুবই জরুরী।
কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল ও সাব্বির খান বলেন, কমটি হলে তৃণমূলের কর্মীদের আরো প্রতিফলন ঘটত।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক তানভীর আলম পিয়াস বলেন, উপজেলা কমিটি খুবই দরকার। তবে যেভাবেই কমিটি হোক যোগ্য নেতারাই দায়িত্ব পাবেন আশা করি।
সৈয়দ তানিন জানান, সংগঠনকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন এমন নেতৃত্ব না হলে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রনি রাজ বলেন, কলেজ ছাত্রলীগ এর নতুন কমিটি হলে আরো গতিশীল হবে বলে আমি মনে করি। কমিটিতে যাদের ছাত্রত্ব আছে তাদেরকেই রাখা উচিত। যাদের ছাত্রত্ব আছে তাদের দিয়েই কমিটি গঠন করার জন্য তিনি জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ রহমান বলেন, অতীতের চেয়ে বর্তমানে জগন্নাথপুর ছাত্রলীগ অনেক শক্তিশালী। পূনাঙ্গ কমিটি’র জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক জানান, ‘খুব শীঘ্রই জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের পূনাঙ্গ কমিচি ঘোষণা করা হবে।