জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবল সংকট; কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত

0
1252
blank
blank

আলী আছগর ইমন: জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবল সংকট হলেও স্বাস্থ্যসেবা এবং খাবার পরিবেশন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রোগীরা। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরজমিনে কথা হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভর্তিকৃত রোগী জগন্নাথপুর উপজেলার সুরিয়ারপাড় গ্রামের নাইমা বেগম, কলকলিয়া গ্রামের নাবিয়া বেগম, কামারখাল গ্রামের মাজিদুর রহমান, দাস নোয়াগাঁও গ্রামের সেলিনা বেগম, পাড়ারগাঁও গ্রামের কল্পনা বেগম, খাশিলা গ্রামের মিন্টু সেন, ইছগাঁও গ্রামের রাজু মিয়া, নাদামপুর গ্রামের আরিফ উল্লাহ, চিলাউড়া গ্রামের রেজাউল হোসেন, জুলেহা বেগম, আবরুছ মিয়া, পৌর এলাকার ইকড়ছই গ্রামের সাবিনা ইয়াসমিন, ইসহাকপুর গ্রামের সোনারা বেগম ও ভবানীপুর গ্রামের ইমা বেগমের সাথে। এ সময় রোগী ও তাদের অভিভাবকরা জানান, তারা গত ২ থেকে ৪ দিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিদিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ডাক্তার ও সেবিকারা তাদের খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে রোগীদের দেয়া হয় উন্নতমানের খাবার। সকালে নাস্তা, দুপুরে মাংস-ভাত ও রাতে দেয়া হয় মাছ-ভাত।
সরজমিনে দেখা যায়, রোগীদের মধ্যে দুপুরের খাবার হিসেবে মাংস-ভাত দেয়া হয়েছে। সেবা ও খাবার নিয়ে কোন অভিযোগ নেই রোগীদের। হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা সেবিকা সিনিয়র নার্স জোসনা সেন জানান, এ পর্যন্ত মোট ৩৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। রোগীদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
তবে লোকবল সংকটের কারণে এখনো কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের সিনিয়র সহকারি অরুন চৌধুরী জানান, জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২১ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১০ জন। নার্স ১৯ জন থাকার কথা থাকলেও আছেন ১৩ জন। ফার্মাসিস্ট ২ জন,প্যাথলজি ল্যাব টেকনিশিয়ান ৩ জন ও এক্সরে টেকশিয়ান ১ জন থাকার কথা থাকলেও প্রতিটি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ লোকবল সংকট থাকায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা কমতি হলেও রোগী ও তাদের অভিভাবকরা সন্তোষ্ট আছেন। তবে হাসপাতালে রোগীদের খাবার পরিবেশনের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তালুকদার এন্টার প্রাইজ রোগীদের মধ্যে খাবার পরিবেশন করে থাকে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে খাবার পরিবেশনকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তালুকদার এন্টার প্রাইজের মালিক আজমল হোসেন মিঠু জানান, সরকারি নির্দেশানা অনুযায় আমরা রোগীদের মধ্যে খাবার পরিবেশন থাকি। এতে কোন ত্রুটি নেই।
জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামসুদ্দিন জানান, লোকবল সংকট থাকলেও আমাদের সাধ্যমত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে হাসপাতালকে পরিছন্ন রাখার জন্য আমাদের ব্যক্তি খরচে ৪ জন পরিছন্নকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া খাবার নিয়ে রোগীদের কোন অভিযোগ নেই।