জগন্নাথপুর পৌর সদর কাঁদা মাটি ও বৃষ্টির পানিতে সয়লাব, জন ভোগান্তি চরমে

0
707
blank
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: জগন্নাথপুর পৌর সদরের চিত্র দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না এটি একটি পৌর শহর। সদরের ভাঙ্গাচোরা সড়কের অসংখ্য গর্তে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কাঁদা মাটি ও বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে পৌর শহর। কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। কাঁদা মাটি মারিয়ে ও বৃষ্টির পানিতে পা ভিজিয়ে পরনের কাপড়-চোপড় নষ্ট করে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। এতে অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পৌরবাসীসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা জন সাধারণ।
জানাগেছে, বিগত প্রায় এক বছর ধরে জগন্নাথপুর পৌর সদরের প্রধান সড়ক ভেঙে যায়। সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সড়কটি পরিণত হয় বেহাল দশায়। সড়কের নাজুক অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। এর মধ্যে গত কয়েক দিনের অল্প বৃষ্টিতে সড়কের ভাঙ্গাচোরা গর্তে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পৌর সদরের ব্যস্ততম পৌর পয়েন্ট থেকে থানা রোড, পৌর পয়েন্ট থেকে রাণীগঞ্জ ও পৌর পয়েন্ট থেকে হাসপাতাল পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এসব সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে এবং সড়কের কাঁদা মাটি মারিয়ে, বৃষ্টির পানিতে পা ও কাপর-চোপর ভিজিয়ে চলাচল করছেন ভূক্তভোগী জনতা। এতে ভোগান্তির শিকার জনতার ক্ষোভ দিনদিন বেড়েই চলেছে। তাদের যত ক্ষোভ অত্র অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উপর। পাশাপাশি সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান ভূক্তভোগি জনতা।
এদিকে-জগন্নাথপুর পৌর সদরের সড়কটি সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের হওয়ায় স্থানীয় এলজিইডি ও পৌরসভা কোন পদক্ষেপ নিতে না পারায় দিনদিন সড়কটি ভেঙ্গে আরো নাজুক আকার ধারণ করছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জগন্নাথপুর পৌরসভার মধ্যে রশি টানাটানির ঘটনায় বিগত এক বছর ধরে সড়কে কোন সংস্কার কাজ হচ্ছে না। যার খেসারত দিচ্ছেন সর্বস্তরের ভূক্তভোগি জনতা।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল মনাফ বলেন, সুনামগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক মহা-সড়কের অধীনে পড়েছে জগন্নাথপুর পৌর সদরের প্রধান সড়ক। সড়কের এ অংশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের হওয়ায় আমরা চাইলেও অনেক সময় কাজ করাতে পারি না। তবুও জনগণের ভোগান্তি লাঘবে অচিরেই পৌরসভার উদ্যোগে এসব সড়কের সংস্কার কাজ করা হবে।
এছাড়া জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের বেহাল দশার কারণে জন ভোগান্তির শেষ নেই। যদিও সড়কে সংস্কার চলছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। আশা করছি আগামি কিছু দিনের মধ্যে সড়কের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তিনি জানান, ২ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জগন্নাথপুর থেকে কেউনবাড়ি বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ গত প্রায় এক মাস আগে শুরু হয়। কেউনবাড়ি বাজার থেকে শুরু করে জগন্নাথপুর অভিমুখে কাজ করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোগান্তি দ্রুত লাঘবে বর্তমানে মানুষের পরিবর্তে উন্নতমানের মেশিন দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।