জনগণের ক্ষোভ আড়াল করতেই তারেকের বিরুদ্ধে কুৎসা: মির্জা ফখরুল

0
482
blank

ঢাকা: সাম্প্রতিক গণগ্রেপ্তার ও ক্রসফায়ার নিয়ে দেশের জনগণের ক্ষোভকে আড়াল করতেই লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী কুৎসা রটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে অরুচিকর, কুৎসাপূর্ণ,  উস্কানীমূলক ও ভয়ংকর প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশই শুধু নয়, তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর বিষাক্তভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক আক্রমণের এক নতুন দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি। আজ দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।  মির্জা আলমগীর বলেন, গতকাল এক ইফতার পার্টিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,  ‘তারেক নাকি লন্ডনে বসে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’র ভাগনি বৃটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীকে নাকি হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন শেখ রেহানাকেও নাকি হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে’।

প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, হত্যার জন্য হুমকি-ধামকি এটা বাংলাদেশের শাসকদলের বৈশিষ্ট্য। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে এটি কোনক্রমেই সম্ভব নয়। এটি বর্তমানে কেবলমাত্র বাংলাদেশেই সম্ভব। লন্ডনে বসবাসকারী কোন ব্যক্তি যদি অন্য কাউকে হত্যার হুমকি দেয়, সেই ব্যক্তি কী আইনের হাত থেকে রেহাই পেতে পারে? বৃটেনের সরকারি দল কি বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের প্রভু হয়ে বসে? বৃটেনে কি সরকারি শাসনযন্ত্রকে বাংলাদেশের মতো অপব্যবহার করা যায়? সেখানে শাসনযন্ত্রকে কি দুর্নীতির চক্রে ও উৎপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত করা যায় ? বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করার দৃষ্টান্ত কি বৃটেনে কয়েক শ’ বছরের ইতিহাসে আছে? সেখানে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কি পাইকারিহারে মিথ্যা মামলা দেয়া যায়? জনগণের সঙ্গে চূড়ান্ত অবিচার ও বিশ্বাস ভঙ্গ করা যায় ? আইনের শাসনের সেই দেশে বাস করে কিভাবে একজন ব্যক্তি সেখানকার একজন এমপি ও তার মা খালাকে হত্যার হুমকি প্রদান করবে? কারণ সেদেশে তো আওয়ামী শাসন চলে না, আইনের শাসন চলে।

মির্জা আলমগীর বলেন, যে দেশে (বৃটেন) বাংলাদেশের মতো কোন নির্বাচনই রক্ত¯œাত নয়, যে দেশের কোন নির্বাচনই জালিয়াতির ওপর সাজানো নয় এবং কল্পনাতীত গুণ্ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন করার যাদের কোন ঐতিহ্য নেই, সেখানে শাসকগোষ্ঠী ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার জেদে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করতে পারে না, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করার জন্য খড়গ ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে না, আবার পছন্দের কেউ অন্যায় করলে তাকে প্রশ্রয় দিতে পারে না। তাই লন্ডনে বসে তারেক রহমান হত্যার হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন সেটা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ ও বিদেশের কোন মানুষই কখনোই কোনদিন শোনেনি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ক্রসফায়ারের হুমকির কথা শুনেছে, প্রধানমন্ত্রীর তর্জন-গর্জন শুনতে শুনতে এদেশের মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়ার পর পুলিশ হত্যার লাইসেন্স পেয়ে যায়। পুলিশ প্রধানমন্ত্রীর ক্রসফায়ারের হুমকিকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে। যার শিকার হয়ে ব্যাংকার, ছাত্রসহ সাধারণ মানুষও ভয়াবহ পুলিশি নির্যাতনে পিষ্ট হচ্ছে।