জাতীয় কাউন্সিল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0
507
blank

ঢাকা: সোহরাওয়ার্দীতে সকাল ১০ টায় জাতীয় সংগীত ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমনন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঠিক দশটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে উপস্থিত হন। তাকে স্বাগত জানায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

১০টা ৫ মিনিটে সবাই দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরপর শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী সাইফুল ইসলাম আসাদ।

এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার। এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’। সম্মেলনকে ঘিরে সারা দেশেই দলটির মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর অংশ নেবেন।

সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন ২৩ অক্টোবর রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হবে। এ সময় কমিটি নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে এ নির্বাচন কমিশন। তিন সদস্যের এ কমিশনের সদস্যরা হলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ড. মসিউর রহমান এবং সাবেক সচিব রশিদুল আলম।

উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া কূটনীতিক, রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

অন্যদিকে ১২টি দেশের ৫৫ জন অতিথি এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে। এরই মধ্য সারা দেশ থেকে কাউন্সিলরদের তালিকা এসেছে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে। ডেলিগেট কার্ড, পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, স্বেচ্ছাসেবক ইউনিফর্মসহ সম্মেলনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তৈরির কাজও শেষ। সম্মেলনের ঘোষণাপত্রও প্রস্তুত হয়েছে।

সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা শহরগুলো সাজানো হয়েছে। শুধু দেশেরই নয়, প্রবাসী বাঙালিদেরও দৃষ্টি এখন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিকে।

অন্যদিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে নির্বিঘ্ন করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক।