জাতীয় পার্টিতে কোন দ্বিধা-বিভক্তি নেই: রওশন এরশাদ

0
1294
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে কোন দ্বিধা-বিভক্তি নেই। জাতীয় পার্টির সবাই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে জাতীয় যুব সংহতির ৩৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাম্প্রতিক সময়ের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারকেই আগুনের প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানও তিনি।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মামলা প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেন, পল্লীবন্ধুর নামে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ রূপকার, তাকে দমিয়ে রাখার জন্যই তার নামে রাজনীতি মামলা দেয়া হয়েছিলো।

আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিতে দলকে আরো শক্তিশালী করতে জাতীয় যুব সংহতির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। আর দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ তুলে দিয়েছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বেকারত্ব দূর করতে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা, ব্যাপক শিল্প বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া গ্যাসের দাম কমানোর দাবিও জানানও তিনি।

জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটনের সভাপতিত্বে এর আগে বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের এমপি বলেন, জাতীয় পার্টি হচ্ছে দেশের ইতিবাচক রাজনীতির মূল নিয়ামক শক্তি। আর জাতীয় পার্টির মূল শক্তি হচ্ছে জাতীয় যুব সংহতি। তিনি জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে যুব সংহতির নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

এর আগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ৯টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ১০টায় সমাবেশ ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহাজাদার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের এমপি, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, জাতীয় যুব সংহতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এটিএম রফিকুল ইসলাম হাফিজ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী এমপি, ফকরুল ইমাম এমপি, অ্যাড. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, মিজানুর রহমান, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, নাজমা আক্তার এমপি, ড. নুরুল আজহার শামীম, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, নুরুল ইসলাম নুরু, সরদার শাহাজহান, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শেখ আলমগীর হোসেন, জহিরুল আলম রুবেল, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোবারক হোসেন আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক ভুইয়া, সুলতান মাহমুদ, মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, সৈয়দা পারভীন তারেক, মিজানুর রহমান মিরু। কেন্দ্রীয় নেতা, আক্তার হোসেন দেওয়ান, এমএ সোবহান, মাহবুবুর রহমান খসুরু, এমএ কুদ্দুছ মানিক, তাসলিমা আকতার রুনা; জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, শাহজাহান কবির, মো. হেলাল উদ্দিন, মোহার হোসেন চৌধুরী রাশেদ, মিয়া আলমগীর, মো. দ্বীন ইসলাম শেখ, মো. শহিদুল ইসলাম সেন্টু, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, মো. নুরুল বশর সুজন প্রমুখ।