জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

0
482
blank

ঢাকা: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যৌথভাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা। শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের পর এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় সন্মান জানানোর পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শহীদ বেদীতে আরো একবার শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপরে একে একে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও অন্যান্যরা শ্রদ্ধা জানান।

ভোর ৬টা ৪৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়। পরে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের  ঢল নামে।

৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের ৪৪ বছর পূর্ণ হল আজ। মুক্তির আনন্দে বিভোর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আজ স্মরণ করছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সেই অকুতোভয় বীরদের। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সারা দেশে স্মৃতির মিনারগুলো আজ ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। জাতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় গাইছে মুক্তির জয়গান। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাণী দিয়েছেন। পৃথক বাণীতে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বলে আখ্যায়িত করেন। ১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহর থেকেই শুরু হয় দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জনকারী মুক্তিযোদ্ধা আর সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। রাতের শীত আর কুয়াশাকে তুচ্ছজ্ঞান করে লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ দেশের শহীদ বেদিগুলোতে। ভোর থেকে মিছিলের শ্রোত গিয়ে মিলে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে।