জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল রবিবার

0
898
blank
blank

ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মত জেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য রোববার তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

৬১ জেলায় চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের এই নির্বাচনে ভোট দেবেন কেবল জনপ্রতিনিধিরা। স্থানীয় সরকার বিভাগ ২৮ ডিসেম্বর ভোটের দিন ঠিক করে দেওয়ায় এখন তারিখ ঘোষণা বাকি।

কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করেছি। মনোনয়ন জমা, বাছাই ও প্রত্যাহারের শেষ সময়সহ তফসিল দেওয়া হবে রোববার।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হতে পারে। ২ ও ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রাখা হতে পারে ৯ ডিসেম্বর।

পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় এ ভোটে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা রিটার্নিং অফিসার এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ারও সুযোগ রাখা হচ্ছে।

আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন।

স্থানীয় সরকারের অন‌্যান‌্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম‌্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।

২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনো ভোটার জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তিনি নিজে একজন জনপ্রতিনিধি হলে পদে থেকে প্রার্থী হওয়া যাবে না।

১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। আর কোনো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়নি।

১৯৮৮ সালে এইচ এম এরশাদের সরকার প্রণীত স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেওয়ার বিধান ছিল; পড়ে আইনটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের জন্য নতুন আইন করে।

এরপর ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অনির্বাচিত এই প্রশাসকদের মেয়াদ শেষেই ডিসেম্বরে নির্বাচন হচ্ছে।