জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট

0
488
blank
blank

ঢাকা: জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জেলা পরিষদ আইনের ৪ (২), ১৭ ও ৫ ধারা কেন বে-আইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রধান নির্বচন কমিশনারকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সঙ্গে ছিলেন সৈয়দ ইজাজ কবির।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করার পর গত রোববার জেলা পরিষদ আইনের তিনটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ইজাজ কবির। রিটে বলা হয়, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে করতে হয়। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ ধারা অনুযায়ী জেলা পরিষদের প্রশাসকরা নির্বাচিত হচ্ছেন প্রতিনিধিদের ভোটে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি জেলাগুলোতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আইন অনুযায়ী, প্রতি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ একই বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন।