টঙ্গীতে জঙ্গি বিরোধী অভিযান, আটক ১০

0
537
blank
blank

গাজীপুর প্রতিনিধি: জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজ নির্মূলে রাজধানীর সন্নিকটে শিল্প শহর টঙ্গীতে রোববার বিকেল থেকে অভিযানে নেমেছে গাজীপুর জেলা পুলিশের ৬ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। টঙ্গীতে পুলিশের এ অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ১০ জনকে আটক করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অভিযান শুরুর আগে বেলা ২টায় টঙ্গী মডেল থানার কনফারেন্স রুমে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, টঙ্গীর ১৫টি ওয়ার্ডে ৬০ ভাগে বিভক্ত করে ছয় শতাধিক পুলিশ সদস্য অভিযান শুরু করেছে। পুলিশ সদস্যরা প্রতিটি বাড়িতে যাবে। বাড়িওয়ালাদের সহযোগিতায় ভাড়াটিয়াদের ফ্ল্যাট বা কক্ষে তল্লাশি চালাবে। যেসব বাড়িতে বাড়িওয়ালাদের পাওয়া যাবে না সেসব বাড়িতে পুলিশ সরাসরি প্রবেশ করবে। বাসা বাড়িগুলোতে কারা বাস করেন এবং তারা কি করেন বা কখন বাড়িতে যাওয়া আসা করেন এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।
এসপি হারুন আরো বলেন, টঙ্গীতে হাজার হাজার বাড়িতে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিদিন টঙ্গী থেকে অগনিত মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করেন। টঙ্গী, রাজধানীর কাছের নগরী হওয়ায় অপরাধীরা টঙ্গীতে আশ্রয় নিয়ে থাকে নিরাপদ ভাবে। ইতোপূর্বে টঙ্গী থেকে হুজি নেতা মুফতি হান্নানকে বোমা মেরে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এর কয়েকদিন পর টঙ্গীর খাঁপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা অভিযানের মাধ্যমে এই ম্যাসেজ জনগণের কাছে দিতে চাই যে, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারী ও জঙ্গিদের সমাজে কোনো ঠাঁই নেই, বিশেষ করে গাজীপুরের পুরো জেলায়। এ অভিযানের মাধ্যমে টঙ্গী শিল্প নগরীর হাজার হাজার বাসা বাড়িতে কোনো ধরনের লোকজন বসবাস করে তা ঘরে ঘরে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা।
জানাযায়, প্রত্যেক ওয়ার্ডে একজন পরিদর্শক, একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ ২০জন কনস্টেবল অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপারগণ সরেজমিনে এ অভিযান পর্যবেক্ষণ করে। টঙ্গীতে পুলিশের এ অভিযানকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলেও তাদের মনে স্বস্তি ফিরে আসে অভিযানের কারণ জেনে। অভিযানের সময় পুলিশ সদস্যরা বাসা বাড়িগুলোতে কারা বসবাস করেন এবং তারা কি করেন বা কখন বাড়িতে আসেন ও বাহির হন এসব বিষয়ে জানতে চায় বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিকগণ।
টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, অভিযানের সময় যাতে কোন অপ্রীতকর ঘটনা না ঘটে বা পুলিশ সদস্যরা যাতে কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয় সেজন্যই সমাজের সর্বস্তরের লোকজনদের নিয়ে এ অভিযান শুরু করা হয়েছে। এবিষয়ে থানা এলাকায় বসবাসকারী সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানান, রোববার অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। এসময় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে জেলাব্যাপী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।