ট্যুরিস্ট ভিসা দেবে সৌদি

0
410
blank
blank

প্রতিবছর লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম পবিত্র মক্কা নগরীতে যায় হজের উদ্দেশে। এটি সৌদি আরবের পর্যটনে বড় অবদান রাখে। দেশটি সাধারণ পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্যও পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সৌদি ট্যুরিজম অ্যান্ড ন্যাশনাল হেরিটেজ কমিশনের প্রধান প্রিন্স সুলতান বিন সালমান সিএনএন মানিকে বলেন, যারা এ দেশটিকে দেখতে চায়, এ দেশের ঐতিহ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চায়, তাদেরও আমরা আমন্ত্রণ জানাব।
সালমান বলেন, ২০১৮ সাল থেকে সৌদি আরব প্রথমবারের মতো পর্যটক ভিসা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর আগে শুধু কাজের জন্য ও পবিত্র শহর ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ভিসা দেওয়া হতো। এবার তেলনির্ভরতা কাটাতেই পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায় মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্রভূমি হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব। ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটি প্রতিবছর ৩ কোটি পর্যটক টানতে চায়। ২০১৬ সালে দেশটিতে পর্যটক যায় ১ কোটি ৮০ লাখ। এর পাশাপাশি ২০২০ সাল নাগাদ দেশটি পর্যটন খাতে বার্ষিক ব্যয় করবে ৪৭ বিলিয়ন ডলার। এ লক্ষ্যে বেশ কিছু বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এসব প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রেডসির বালুকাময় উপকূলে প্রায় ১০০ মাইল এলাকাজুড়ে রিসোর্ট নির্মাণ করা। ২০২২ সাল নাগাদ সিক্স ফ্ল্যাগস থিম পার্ক উদ্বোধন করা হবে।

সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি মহানগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। যাতে সৌদি আরবের সীমানা বিস্তৃত হবে মিসর ও জর্দান পর্যন্ত। ইউরোমনিটরের গবেষণা ব্যবস্থাপক নিকোলা কসিউটিক বলেন, সৌদি আরবে দারুণ পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির অনুকূল আবহাওয়া, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য পর্যটক টানার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু এ দেশটির চারদিকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল দেশ রয়েছে, যাদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ।

সৌদি আরবের পাশাপাশি পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলই পর্যটনের জন্য সম্ভাবনাময়। মাস্টারকার্ডের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী ২০২০ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যে ১৫৬ মিলিয়ন মুসলিম ভ্রমণ করবে। যেখানে ২০১৬ সালে ভ্রমণ করে ১২১ মিলিয়ন। পর্যটকরা বছরে ব্যয় করবে ২২০ বিলিয়ন ডলার। সিএনএন মানি।