ডিএসসিসির মশার ওষুধে সমস্যা নেই: মেয়র

0
535
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবহৃত ওষুধে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের ওষুধ অকার্যকর বিষয়টি সঠিক নয়। কারণ এ ওষুধ নিয়ে এখনো কোনো গবেষণা হয়নি।
গতকাল নগর ভবনে বিদ্যমান মশার ওষুধের কার্যকারিতা এবং মশক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন ওষুধ নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মেয়র। সভায় ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, আইসিডিডিআরবির সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিউল আলম, আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা: মীরজাদী সোব্রনা ফ্লোরা, বিসিপিএ এর সভাপতি এ কে এম আজাদ প্রমুখ। বৈঠকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি), প্ল্যান প্রোটেকশন উইং, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ ১০টি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন মশা নিধনের জন্য দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে। মশার ডিম, প্রজনন ক্ষেত্র এবং লার্ভা ধ্বংস করার জন্য ব্যবহার করা হয় ‘লার্ভিসাইড’ নামক ওষুধ। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে উড়ন্ত এবং অ্যাডাল্ট মশা মারার জন্য ‘অ্যাডাল্টিসাইড’ ওষুধ। লার্ভিসাইড অত্যন্ত কার্যকর একটি ওষুধ। বর্তমানে অ্যাডাল্টিসাইড বিষয়ে আলোচনা, সমালোচনা চলছে। তবে এখনো অকার্যকর বলা হয়নি।
সাঈদ খোকন বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরকারের মেন্ডেডপ্রাপ্ত সংস্থা রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরকে আমাদের ব্যবহৃত ওষুধ সরবরাহ করব। তারা পরীক্ষার-নিরীক্ষা করে যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।
লার্ভা ধ্বংসে বাড়ি বাড়ি অভিযান : এডিশ মশার লার্ভা ধ্বংসে বাড়িতে বাড়িতে অভিযান শুরু করেছে ডিএসসিসি। গত ২১ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত তিন দিনে এক হাজার ৪২১টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্মানাধীণ ভবনে থাকা মশার লার্ভা ধ্বংসে গত ২২ জুলাই থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।
ডিএনসিসির কল সেন্টার চালু : নগরবাসীদের ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগসংক্রান্ত পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কল সেন্টার চালু করছে। কল সেন্টারটির নম্বর হচ্ছে ০১৯৩২-৬৬৫৫৪৪। এই নম্বরে যে কেউ ফোন করে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন।