ডিসেম্বরে নির্বাচনের পরিকল্পনা

0
460
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ জন্য কমিশন থেকে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ দুটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের কোনো সিটিতে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে জন্য কমিশন থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন করে তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন তা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে। সে ক্ষেত্রে আগামী অক্টোবরের শেষ অথবা নভেম্বরের শুরুতে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
চলতি বছরের ২৭ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ ও আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সিটির মেয়াদ শেষ হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
জানতে চাইলে কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটির নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে। অন্যদিকে ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। তাই সেই সময়ে কুমিল্লা সিটির নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। যে কারণে ডিসেম্বরে একই দিনে দুটি সিটিতে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা আছে।
প্রথমবারের মতো কোনো সিটিতে রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বিধায় কমিশন সচিবালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ মনে করেন, নির্বাচনের আগে কমিশনের উচিত হবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করা। সেটা করা হলে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো কেন্দ্র দখল, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু কমিশনের সেই রকম কোনো আগ্রহ নেই বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৩ সালে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রশংসিত হয়। সব কটিতেই মেয়র পদে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। তবে এরপরে ঢাকার দুই সিটি, চট্টগ্রাম সিটি, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।