ঢাকা: মীর কাসেম আলীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, ত্রুটিপূর্ণ অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আপিল বিভাগ নিজেরাই স্বীকার করছেন অভিযোগ ত্রুটিপূর্ণ, তারপরও সেই চার্জে তারা মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং আমরা মনে করি, জসিমের মৃত্যুর ব্যাপারে ১১ নম্বরে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে ব্যাপারে আমরা আপিল বিভাগে রিভিউর পর খালাস পাব।
রোববার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের বার মিলনায়তনে রিভিউ দাখিলের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মীর কাসেম আলীর ছেলে এবং তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমান, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, ইউসুফ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সে কারণেই আমরা মনে করি, জসিমের ব্যাপারে মীর কাসেম আলী সাহেবকে অবশ্যই আপিল বিভাগ রিভিউতে অবশ্যই খালাস দেবেন। দুটি ব্যাপারে একটি হলো আপিল বিভাগ নিজেই স্বীকার করেছেন, ট্রাইব্যুনালে যে বিচার হয়েছে সেখানে তাকে অ্যাবেটর হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু আপিল বিভাগ তাকে অ্যাবেটর না দেখিয়ে সরাসরি প্রধান আসামি হিসেবে সাজা দিয়েছেন। এতে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। এটা আইনসম্মত হয়নি। সেই কারণেই আমরা বিশ্বাস করি, চার্জ নম্বর ইলেভেনে, যেখানে জসিম হত্যাকা-ের ব্যাপারে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে, সেটা কোনো অবস্থায়ই বহাল থাকবে না।
সাক্ষ্য প্রমাণ যা ছিল জসিমের ভাই জীবিত থাকা অবস্থায় জসিমের প্রসিকিউশনের তরফ থেকে তাকে সাক্ষ্য না দিয়ে কতগুলো বানানো সাক্ষী দিয়ে তার বিচারের চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে অবশ্যই আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। তিনি বলেন, একটা জিনিস অবশ্যই মনে রাখতে হবে, মীর কাসেম আলী রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন খন্দকার মাহবুব হেসেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে (মীর কাসেম) বাংলাদেশের মাটিতে মানুষের শিক্ষার জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য, মানুষের সুচিকিৎসা করার জন্য কাজ করেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের বেকার যারা আছেন তাদের কর্মসংস্থানে তিনি সমাজসেবক হিসেবে কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করব যে সাক্ষ্য প্রমাণ আছে ও প্রসিকিউশন যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেখানে আমরা প্রমাণ করেছি এই ঘটনার সময় মীর কাসেম আলী চট্টগ্রামে ছাত্রসংঘের কিছু ছিলেন না।
তিনি ওই সময় তিনি ঢাকা ছিলেন। এজন্য আমাদের দালিলিক ও মৌখিক সাক্ষ্য রয়েছে। প্রসিকিউশনের সাক্ষীতেও তাই রয়েছে। তাই যদি হয় যুদ্ধকালে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল তখন অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া অসম্ভব ছিল। এটা আপিল বিভাগ অবশ্যই বিবেচনায় নিবেন। তার রায় আশা করি সঠিকভাবে পর্যালোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা রিভিউ আবেদনে সবটাই খালাস চেয়েছি। তবে আমরা বেশির ভাগ গুরুত্ব দিয়েছি চার্জ ইলেভেন যেখানে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে সেটাতে। সর্বোচ্চ আদালত স্বীকার করেছেন ট্রাইব্যুনাল অ্যাবেটর হিসেবে রায় দিয়েছেন। আর আপিল বিভাগ মূল অপরাধী হিসেবে তাকে রায় দিয়েছেন। এতে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.