নিজস্ব প্রতিবেদক : থার্টিফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ইংরেজি নববর্ষের আগে উন্মুক্ত কোনো এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে। তবে ঘরোয়া আয়োজন করা যাবে। পাশাপাশি নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে কোনো আতশবাজিও ছোড়া যাবে না।
সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা ও বিদেশি খ্রিস্টান মেহমান যেসব এলাকায় থাকবেন এমন সব এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা শহরে পাঁচ হাজারের বেশি নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত থাকবে। এর বাইরেও সাদা পোশাকে পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত থাকবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বড় চার্চগুলোতে মেটাল ডিটেকটরসহ সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতার জন্য চার্চের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। থার্টিফার্স্ট নাইটে ইভটিজিং এবং নেশাগ্রস্তদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সারাদেশে খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় শান্তিরক্ষা সমন্বয় কমিটি থাকবে। যারা পুলিশের ফোকাল পয়েন্টের সাথে সবসময় যুক্ত থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে আমাদের দেশে আগে যুবকরা রাতটি উদযাপন করার জন্য বাধাহীনভাবে চলাফেরা করত। আপনারা দেখেছেন গত দুই তিন বছর ধরে এমন উচ্ছৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করতে দেয়া হয় না। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না। রাস্তাঘাটে ইভটিজিংসহ নানা বিশৃঙ্খলা বন্ধ হয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো সমাবেশ করা যাবে না। তবে ইনডোর প্রোগ্রাম করা যাবে। কেউ ইনডোর প্রোগ্রাম করতে নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করলে তাদের নিরাপত্তা দেয়া হবে।
তিনি জানান, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর থেকে কোনো বহিরাগত এই এলাকায় ঢুকতে পারবে না। তাদের ঠেকাতে আমরা সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করব। যারা ৮টার পর ওই এলাকায় যেতে চায় তাদের আমাদের সার্চ টিম সার্চ করে প্রয়োজন মনে করলে অনুমতি দেবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ৩১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে ঢাকা শহরের সব এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এদিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কোনো লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র কেউ বহন বা প্রদর্শন করতে পারবে না। ফায়ার সার্ভিস তাদের রিক্রুমেন্ট নিয়ে থার্টিফার্স্ট নাইটে প্রস্তুত থাকবে। যেকোনো সমস্যা মোকাবিলায় তারা কাজ করবে।
মন্ত্রী বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছ থেকে তাদের অনুষ্ঠান আয়োজনে কী ধরনের আশঙ্কা তা জানার চেষ্টা করেছি। সারাদেশে খ্রিস্টান সমপ্রদায়ের চার্চগুলোতে কীভাবে নিরাপদে অনুষ্ঠানগুলো হয় এর জন্য আলোচনা করেছি। ঢাকা মহানগরীতে ৭৫টি চার্চ আছে। এর মধ্যে বড় চারটি চার্চ আছে তেজগাঁও, মিরপুর, বনানী এবং বাড্ডায়। এ চার্চগুলোতে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। এ চার্চগুলোতে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.