দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে নাঈম তালুকদার:‘ভোর ৫ টা থাকি লাইনো উবাইয়া বিকাল ৪ টায় নি:স্ব হইয়া ফিইরা যাইরাম, আজ কো লইয়া তিন দিন ধরি আইয়া গোইরা যাই ৫ কেজি চাউলের লাগি’কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলো বললেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জের হাওর পাড়ের শতাধিক কৃষক। হাওর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর মাছ মেরে বিক্রি করে যখন কোন রকম দিনাতিপাত কাঠানোর স্বপ্ন দেখছিলেন হাওর পারের হাজার হাজার কৃষক ঠিক তখনই হাওরে মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এই সময়ে সরকার ওএমএস এর চাউল ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করার সুযোগ সৃষ্টি করলেও তা চাহিদার চেয়ে তুলনামূলকভাবে খুবই কম।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে দেওয়া হয়েছে ৬ জন ডিলার তাও সপ্তাহে ৩ জন। প্রতিজন ডিলার মাত্র ২ শত জন কে ৫ কেজি করে চাউল ও ৫ কেজি করে আটা দিতে পারেন অতচ ডিলারের দোকানে প্রতিদিন সকাল থেকে লাইনে থাকে প্রায় ১ হাজারের চেয়েও বেশি লোক। কার আগে কে চাউল নিবে এই নিয়ে হই হোল্লর ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ডিলারের সংখ্যা কম থাকায় প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহালে হচ্ছে ২ লক্ষাধিক কৃষক পরিবারের। একাধিক কৃষকের সাথে আলাপকালে জানাযায়: সরকারের মন্ত্রী এমপিরা সভা সমাবেশে বলছেন দেশে খাদ্যের অভাব নাই কিন্তু লাইনে দাড়িয়ে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়ার ও চাউল পাওয়া যায় না। বর্তমান ্ক্রান্তিকালে সরকার যদি প্রত্যেকটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক ডিলার নিয়োগ করে ন্যায্য মূল্যে ওমমএস এর চাউল বিতরণের উদ্যোগ নেন তাহলে সকল কৃষক চাউল পাবে বলে দাবি করেন একাধিক কৃষক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.