দক্ষিন সুনামগঞ্জে অনুমোদনহীন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা

0
774
blank
blank

কে এম শহীদুল ইসলাম: বুধবার সকাল ১১টায় অনুমোদন ছাড়াই উদ্বোধন হলো দক্ষিন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ বাজারে ইডেন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ফার্মেসী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের। ফ্রি ক্যাম্পের নামে চলছে রমরমা ব্যবসা। মানুষকে ধোকা দিয়ে হাতিয়ে নিতে চাচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারের সুলতানপুর রোডে থানা পুলিশের নাকের ডগায় একটি ভাড়াটিয়া দোকার ঘরে নাম সর্বস্ব ডাক্তারের বিশাল সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অভিনব প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করেছে একটি চক্র। অভিজ্ঞ ও দক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা রোগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার করার বাহারী চটকদার লিফলেট ও মাইকিং করা হলেও কোন অভিজ্ঞ ডাক্তার কিংবা টেকনেশিয়ানদের খুজেঁ পাওয়া যায়নি। অথচ যাদের বিরুদ্ধে গত কয়েকমাস পূর্বে শহরের হোসেন বখত চত্বরে ভুয়া ডাক্তারী করার অভিযোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিতাড়িত করা হয়, তাদের দিয়েই ইডেন ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টার খোলা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। সেন্টারের মালিক হিসেবে ডুংরিয়া গ্রামের সোহাজ মিয়া জানান, ফ্রি ক্যাম্প দিয়েছি এলাকার গরীব মানুষ ফ্রি চিকিৎসা পাইবো। শুধু মাত্র ন্যায্য মুল্যে ঔষধ দিবো, আর ২০% কমিশনে টেষ্ট দিবো, আজকে উদ্বোধন করছি। নিয়মিত ডা: সাইদুর রহমান, মানসকান্তি তালুকদার আর মাহবুবুর রহমান বইবায়। বর্তমানে তিন জন ডাক্তার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রোগী দেখরায়। আজকে সব ফ্রি। ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আমি দরখাস্ত করছি। লাইসেন্স পাইনাই পাইমু তারা আশ্বাস দিছে। ট্রেড লাইসেন্স আমার আছে। অনুমোদন এখন পর্যন্ত নাই। স্থানীয় লোকজন আমাকে সাহস দিয়েছে এবং চেয়ারম্যান সাবে দেইখা গেছইন। আজকে যাষ্ট উদ্বোধন করছি। আজকে যাষ্ট্র ফ্রি ক্যাম্প করছি। ডাক্তাররা রোগী দেখরা। এর পর কার্যক্রম শুরু করমু আমার কাগজপত্র আসার পর।
এ ব্যাপারে ডা: সাইদুর রহমান বলেন, আমরা বিনামুল্যে রোগী দেখছি। যে প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখছি তার কাগজপত্র প্রক্রিয়াধীন। তাদের কাগজপত্র যদি সঠিক থাকে তাহলে আমরা আরও ভালভাবে রোগী দেখব। ডা: সাইদুর রহমান সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। সরকারী চাকুরী রেখে কিভাবে বেসরকারী অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কিছুক্ষনের জন্য রোগী দেখে চলে আসছি। দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সদর হাসপাতালে ডিউটি করি। শান্তিগঞ্জে বেসরকারী ইডেন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কাগজপত্র প্রক্রিয়াধীন বিধায় আমি রোগী দেখে চলে আসছি। ডাক্তার মাহবুবুর রহমান ও মানস কান্তি তালুকদারকে চিনি না। ভুয়া ডাক্তারের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নাই। সে যদি এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমি জানিনা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোথাও যাইনি। আমি দুই বছর যাবৎ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ইমার্মেন্সী অফিসার হিসেবে চাকুরী করছি।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা: আশুতোষ দাস এর মোবাইল নম্বর ০১৭১২৫১৬৫৩২ ফোন দিলে রিসিভ না করে বন্ধ করে দেন। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বস্থ সুত্রে জানায়, সিভিল সার্জন ডাক্তার আশুতোষ দাস উক্ত ভুয়া প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের অর্থ গ্রহন করেছেন।