দীর্ঘদিন ধরে শাল্লায় হেলে আছে বিদ্যুতের খুটি, ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা

0
1325
blank
blank

শাল্লা প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লায় দীর্ঘদিন ধরে লেগে আছে বিদ্যুৎ নানা সমস্যা। ১৯৮৬ সালে দিরাই থেকে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ হয় শাল্লায়। সেই বিদ্যুৎ লাইন এখনো রয়েছে হেলে পড়া খুটির উপর। শাল্লা উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনের দু’টি খুটিটি দীর্ঘদিন ধরে হেলে আছে পশ্চিম দিকে। যেকোনো সময় তা পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। এরূপ অনেক খুটিই হেলে থাকতে দেখা গেছে। তাছাড়া পুরাতন লাইনের কোটেট করা মূল তার থেকে অপরিকল্পিতভাবে প্লাস্টিকের আবরণ কেটে টানা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এ থেকেও ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা সদরের ডুমরা গ্রামের ভিতর দিয়ে পুরাতন ষ্টীলের খুটিতে নন-কোটেট তারে টানা হয়েছে সংযোগ। কোনো কোনো স্থানে এমনই ভাবে সংযোগ দেয়া হয়েছে যা পথচারিদের মাথা ছুয়ে থাকে। আবার দেখা গেছে কোথাও কোথাও বাঁশের ঝুকিপূর্ণ খুটিতে সংযোগ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এসব বিদ্যুৎ লাইনের কারণে বারবার ট্রান্সফরমার নষ্ট হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। তারা আরো বলেন, একবার প্রান্সফরমার নষ্ট হলে আমাদেরকে ১৫-২০ দিন অন্ধকারে থাকতে হয় এবং নিজ খরচে ট্রান্সফরমার আনতে হয়। এধরণের বিদ্যুৎ চলতে থাকলে যেকোনো সময় শর্ট-সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নি সংযোগসহ ঘটতে পারে প্রাণহানীর মতো দুর্ঘটনা। তারা আরো জানান শাল্লায় বিদ্যুৎ কখনো যায় না। শুধু আসে।
ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় লোকজনের সাথে এবিষয়ে কথা হলে তারা বলেন, শাল্লার কারেন্ট নিয়ে কি আর বলবো। একথায় বললে বলতে হয়, সর্বাঙ্গাণে ব্যথা, ঔষধ দিবো কোথা। তাদের দাবী এসব হেলে পড়া ঝুকিপূর্ণ খুটিগুলো অপসারণ করে নতুন খুটি স্থাপনসহ শিকল ও ক্ল্যামের মাধ্যমে নিরাপদ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। কথা প্রসঙ্গে তারা আরো বলেন, গত ফেব্রুয়ারী মাসে অনিরাপদ বিদ্যুৎ লাইনের কারণে হবিবপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের ১২ বছরের একটি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। তারপরও কর্তৃপক্ষ সেদিকে কোনো দৃষ্টি দিচ্ছে না। আমরা কি আর করবো।
শাল্লার বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ জানিয়েছেন, আমাদের এখানে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো লোক নাই। তাই ওইসব অনিরাপদ বিদ্যুৎ লাইনে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদেরকে বাধ্য হয়ে আর.ই কে ফোন করতে হয়। অনেকবার পাওয়া যায়। আবার অনেকবার পাওয়া যায়নি। বিদ্যুতের এসমস্যা থেকে সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের এখানে বিদ্যুতের একটি সাব-ষ্টেশন করা হলে কিছুটা হলেও স্বস্থি পাওয়া যাবে।

শাল্লার বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দিরাই বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ তারেকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট থেকে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যা দিরাইয়ে কাজ শুরু করেছে। পরবর্তীতে শাল্লায়ও কাজ করা হবে।