দুদক হচ্ছে সরকারের এজেন্ট : ব্যারিস্টার মওদুদ

0
778
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারের এজেন্ট মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আগামী নির্বাচন থেকে বিএনপিকে বাইরে রাখতেই সরকার ও দুদক অভিন্ন উদ্দেশ্য কাজ করছে। মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, এই দুদক সরকারের একটা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। সরকারের যে উদ্দেশ্য, দুদকের উদ্দেশ্যও একই। তাদের উদ্দেশ্য বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে তারা যাতে নির্বাচনে না আসতে চায়। সরকারকে বলব- আপনারা যত ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন করুন না কেনো, যতই কলাকৌশল করেন না কেনো, যত রকমের ষড়যন্ত্র করেন না কেনো, যতভাবে আমাদের নিষ্পেষিত করেন না কেনো বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এটাই প্রমাণিত হবে জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় হবে এবং সেদিন আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতে হবে- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার সভানেত্রী রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

দলের ৮ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত সম্পর্কিত গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ৮ জন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদপত্রে দিয়ে এই চরিত্রহননের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এটাও তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ। উদ্দেশ্য একটাই- বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রাখা এবং বাকী শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া যাতে করে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। এমন অবস্থা করা যাতে এই দল নির্বাচনে আসতে না পারে। এটাই হলো তাদের মূল্য লক্ষ্য। সরকারের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ এটা কখনো গ্রহণ করবে না।

সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, দুদক সম্পর্কে কী বলব। এই কমিশন তো আমরাই করেছিলাম অনেক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। সত্যিকার অর্থে যারা দুর্নীতি পরায়ণ বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের দুর্নীতি ধরবে, একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এখন এই দুদক সরকারের একটা তল্পিবাহক একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আজকে এই কমিশন সরকারের একটি আজ্ঞা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের ইচ্ছাপূরণ করবার চেষ্টা করছে।