ঢাকা : দেশ-জাতি ও জনগণ মহাসংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, একটা মহাসংকটের মধ্য দিয়ে জাতিকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদ গঠন করা হয়নি। এটা সংসদের ঘাটতি।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে গণফোরামের পুনর্গঠিত কমিটি ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড.কামাল হোসেনকে সভাপতি ও ড. রেজা কিবরিয়া সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে গণফোরাম। সংবাদ সম্মেলনে ১০৮ সদস্যদের কমিটির নাম ঘোষণা করেন দলটির নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুকে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জবাবে ড. কামাল বলেন, এ বিষয়ে আমরা পরে জানাবো।
সংসদ সদস্য সুলতান মনসুরের বিষয়ে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, দল থেকে আমরা যাদেরকে বহিষ্কার করেছি তারা যদি আসতে চায়, তাহলে আবেদন করতে হবে। দলের নিয়মকানুন মেনে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
সূচনা বক্তব্যে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল বলেন, আমাদের আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যই সবকিছু করবো। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের আকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যত গড়ে তুলবো।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, দেশের গরিব মানুষের স্বার্থ রক্ষা খুব কঠিন কাজ। আমাদের কাজ হবে দেশের সাধারণ মানুষের কথা এবং তাদের স্বার্থ তুলে ধরা। যাদের কথা কেউ বলতে চাই না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ হল সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের প্রশ্নে সারা পৃথিবীর সামনে প্রমাণিত হয়েছে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই। তাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে গণতন্ত্রকে ফেরত আনতে হলে অনতিবিলম্বে একটা অংশগ্রহণমূলক, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। আমরা এই ব্যাপারে বলতে চাই।
রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, ৫ জন সংসদ সদস্যকে ঢুকতে দিলেই এই সংসদের বৈধতা হবে সেটা ভুল ধারণা। দেশের মানুষকে এতটা বোকা মনে করা উচিত না। জনগণ দেশের মালিক এবং সেই মালিকানা তাদের ফেরত দিতেই হবে। ভয়-ভীতি, মিথ্যা মামলা, হুমকি দিয়ে মানুষকে চুপ করানো যায়, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা, আস্থা, সম্মান আদায় করা যায় না।