নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে ৮ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে।ধর্ষণের পর ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সেখানে তাকে ও তার বাবার খোঁজ করে মেরে ফেলার প্রচেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাধ্য হয়ে ভয়ে বোরকা পড়ে র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়।
এ খবরে র্যাব-১১ এর অভিযানে ওই অভিযুক্ত ইমাম সহ আরো ৫ অনুসারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপউদ্দিন জানান, ৬ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় বোরকা পরিহিত অবস্থায় এক ব্যক্তি র্যাব-১১ অফিসে এসে এই মর্মে একটি অভিযোগ দেয় যে, তার মেয়ে বর্তমানে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে এবং মসজিদের ইমাম কর্তৃক ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর ইমামের অনুসারীরা তার মেয়েকে ও বাবাকে মেরে ফেলার জন্য বার বার হাসপাতালে গিয়ে খুঁজছে।
ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যায়। ভিকটিম ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে হাসপাতালে তাদের নিরাপত্তায় নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করে। এরপর আভিযানিক দলটি ঘটনার স্থল পরিদর্শন ও ধর্ষককে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।
২ দিনের প্রচেষ্টায় ৭ আগস্ট সকাল ৬টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন উত্তর চাষাঢ়া চাঁদমারীস্থ এলাকা হতে ধর্ষক মো. ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিশুটির বয়স ৮ বছর। সে মাদ্রাসায় ২য় শ্রেনীতে অধ্যয়নরত। শিশুটি রাতের বেলায় বিভিন্ন প্রকার দুঃস্বপ্ন দেখে কান্না কাটি করত। বিভিন্ন প্রকার কবিরাজি চিকিৎসা করে ভালো না হওয়ায় ভিকটিমের বাবা জানতে পারে যে, অভিযুক্ত মোঃ ফজলুর রহমান রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ দিন যাবৎ ঝাড়ফুঁক ও পানিপরা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা ভিকটিমকে এর আগে ২ থেকে ৩ বার ধর্ষক ফজলুর রহমানের কাছে ঝাড়পুক পরিয়ে নেয়। তারপরও তেমন উপকার না হওয়ায় ধর্ষক ফজলুর রহমান ভিকটিমের বাসায় গিয়ে ‘বাড়ী বন্দি’ নামক চিকিৎসা করে আসে।