নতুন সিইসির পদত্যাগ দাবি বিএনপির

0
474
blank

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘দল নিরপেক্ষ নয়’ দাবি করে তার পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রপতি তার অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে তিনি আবারও একটি কালিমাযুক্ত অধ্যায় রচনা করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কুমিল্লার ডিসি হিসেবে জনতার মঞ্চ দখল করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি নামিয়েছেন। যার ভাই বর্তমান শাসক দলের নেতা হিসেবে একটি ইউনিয়নের সভাপতি। ফলে শুধু রকিবউদ্দীন মার্কা নির্বাচন নয়, বরং এর চেয়েও আরো খারাপ নির্বাচন করতেই তাকেই (নুরুল হুদা) প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতি সেটি গ্রহণ করেছেন।
রিজভী বলেন, অনাচার, অবিচার এবং গুম করে বেশিদিন চলে না। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলব, যে কোনো অনাকাঙ্খিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগে পদত্যাগ করুন।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা করি আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এবং একটি ভালো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সময়ে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকার গঠনে উদ্যোগ নিন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, একবার ২১ বছর ক্ষমতায় ছিলেন না, এরপর ৪২ বছর পরও ক্ষমতায় আসতে পারবেন কি না সেটা নিয়ে একটা হিসাব নিকাশ করুণ এবং নিজেদের উপলব্ধি নিয়ে আসুন।
মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মামলা হাওয়ায় উড়ে যায় আর বিচারবিভাগকে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হয়রানি করা হয়। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না। বেশিদিন প্রভুদের সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।
সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।