নরসিংদীতে দুপক্ষে সংঘর্ষ: নিহত ৪

0
824
blank
blank

নরসিংদীর রায়পুরায় নীলক্ষা ইউনিয়নের সাবেক আর বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে তৃতীয় দিনের মতো সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেড় শ’ রাউন্ডের বেশি গুলি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, সংঘর্ষে তারা চারজনের নিহত হওয়ার খবর পেয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত একজনের মৃতদেহ পেয়েছেন। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ আরো অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বিবিসিকে জানিয়েছেন, রায়পুরা উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল। তাদের অনেকবার বিরত করার চেষ্টা করা হয়েছে। রোববার দুপক্ষ মারামারি করে সাধারণ মানুষজনের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। আজও তারা আবার সহিংসতা শুরু করে। তাদের থামাতে গেলে পুলিশের উপরও হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ গুলি ছোড়ে।
সেখানে প্রায় দেড় শ’ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘটনাস্থল থেকে একজনের টেঁটা বিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে আরো তিনজন মারা গেছে বলে পুলিশ খবর পেলেও, তাদের মৃতদেহ এখনো পায়নি বলে এসপি আমেনা বেগম জানিয়েছেন। রায়পুরা থানার ওসিসহ কয়েকজন কনস্টেবলকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রভাব বিস্তার কেন্দ্র করে রায়পুরার নীলক্ষা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হকের বেশ কয়েকবছর ধরেই বিরোধ চলছে। গত নির্বাচনের সময় সেই বিরোধ চরমে ওঠে। এরপরেও দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
শনিবার নীলক্ষা ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে আবার সহিংসতা শুরু হয়। এর জের ধরে রোববার টেঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা বিরোধী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া আর গোলাগুলি হয়। সোমবার সকাল থেকে পুনরায় সহিংসতা শুরু হয়।
কয়েকটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে গুলি আর টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এখনো সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি