নাসিরনগরে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
941
blank

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কাশীপাড়া গ্রামে দুর্বৃত্তের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর পরিদর্শন করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঘটনার নয় দিন পর আজ মঙ্গলবার নাসিরনগর উপজেলা সদরের আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সর্বদলীয় সুধী সমাবেশ নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ এ সমাবেশের আয়োজন করে। বেলা একটা থেকে পৌনে চারটা পর্যন্ত এ সমাবেশ চলে।
এতে প্রধান অতিথির ভাষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা বসে বসে জজ মিয়ার নাটক তৈরি করছি না। হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যারা ধর্মের নামে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের শাস্তি পেতে হবে। এর বিকল্প নেই। কোনো ধর্ম মানুষ হত্যা, হামলা, লুটপাটের কথা বলে না। তাহলে কেন রামুর মতো ঘটনা ঘটছে?’

তিনি বলেন, রামুর বিষয়ে সবাই দেখেছে। কাবা শরিফের ছবি বিকৃত করা হয়েছে। ব্লগারদের কুরুচিপূর্ণ লেখা ফেসবুকে পোস্ট করা দেখেছে লোকজন। ৯১ দিনের অগ্নিকাণ্ড, বিদেশিদের হত্যা, বিভিন্ন ধর্মের গুরুদের হত্যা করে একটি গোষ্ঠী অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তখন তারা ব্যর্থ হয়েছি। এরপর তারা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের আপামর জনতাকে ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছিলেন। ওই গোষ্ঠী সেসব ঘটনা থেকে ব্যর্থ হয়ে নতুন হামলা শুরু করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা এটা করেছে, ‘তারা মনে করে, তারাই বিজ্ঞ, আমরা কিছু জানি না। আমাদের প্রশাসন আছে। কারা ঘটিয়েছে, আমরা চিনতে পেরেছি। হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু সবকিছুই বেরিয়ে আসবে। আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট। কারও ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর কেউ যেন আঘাত না আনে। যদি কেউ আঘাত হানে, তাদের আইসিটি আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

সুধী সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের (নাসিরনগর) সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, অতিরিক্ত আইজি (এসবি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দজী মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন, খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ ইসকনের উপদেষ্টা কৃষ্ণকীর্তন দাস ব্রহ্মচারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাজেদুর রহমান।