নিখোঁজ ছেলে ফিরলে রাষ্ট্রপতির কাছে মার্জনা চাইবেন কি-না সিদ্ধান্ত

0
520
blank

ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর সাথে কাশিমপুর কারাগারে সাক্ষাৎ করেছেন তার স্ত্রীসহ পরিবারের ৯ সদস্য। দুপুর পৌনে ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত তারা সাক্ষাৎ করেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পরিবারের সদস্যরা হলেন, মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন, পুত্রবধূ সাহেদা ফাহমিদা আক্তার, মেয়ে তাহেরা তাসমিম ও সুমাইয়া রাবেয়া, তাহসিনা আক্তার, ভাতিজা হাসান জামান খান ও তিন শিশু। তাদের নাম জানা যায়নি। সাক্ষাৎ শেষে কারাগার থেকে বের হয়ে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এসময় তাদের নিখোঁজ ছেলে ফিরে আসার পর রাষ্ট্রপতির কাছে মার্জনা চাওয়ার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় পুলিশি টহল কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ তার বিশাল গাড়ির বহরসহ কাশিমপুর কারাগার এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন। তবে তিনি তার পরিদর্শনকে রুটিন পরিদর্শন বলে দাবি করেছেন। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিশেষ কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থার কথা অস্বীকার করেন তিনি। এর আগে বুধবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ কর্তৃপক্ষ মীর কাসেম আলীকে রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শোনায়।

জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মীর কাসেম আলীকে রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে মার্জনা চাইবেন কি-না জানতে চাইলে কাসেম আলী সময় চেয়েছেন। সময় চাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এর আগে মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কাগজ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ পৌঁছে।

মঙ্গলবার সকালে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রেডিওর মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে কাসেম আলী রিভিউ আবেদন খারিজের রায় শুনেছেন।