নিবন্ধন কেন্দ্রে সরাসরি ভোটার হওয়া যাবে

0
972
blank
blank

স্টাফ রিপোর্টার: ভোটার তালিকা হালনাগাদের চলমান তথ্য নিবন্ধন কার্যক্রমের সময় বাদ পড়া ভোটারযোগ্যদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের সময় যাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি, তারা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ও সংশ্লিষ্ট দলিলসহ নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন। বুধবার ইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫শে জুলাই থেকে ৯ই আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ২০শে আগস্ট থেকে এসব
নাগরিকের তথ্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে স্থানীয় নির্বাচন কেন্দ্রে, যা চলবে ৫ই নভেম্বর পর্যন্ত। ২০১৮ সালের ১লা জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হচ্ছে তাদের ভোটার করা হচ্ছে এবার। অভিযোগ আছে, এবছর তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি না যাওয়ায় অনেকেই ভোটার হালনাগাদের জন্য তথ্য প্রদান করতে পারেনি। এর প্রেক্ষিতে ইসির পক্ষ থেকে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, হালনাগাদ কর্মসূচি অনুযায়ী ২০শে অগাস্ট থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮৩টি উপজেলায়, ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ই অক্টোবর পর্যন্ত ২১৬টি উপজেলায় এবং ১৪ই অক্টোবর থেকে ৫ই নভেম্বর পর্যন্ত ১১৮টি উপজেলায় নিবন্ধন চলবে। এসব এলাকায় নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো স্থানে নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে ভোটার হতে পারনেনি তাদের এখনও কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বন্যার কারণে যেসব এলাকায় নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধন শুরু করা যায়নি তাদের দ্বিতীয় বা শেষ ধাপে সময়সূচি পরিবর্তনের জন্য স্থানীয়ভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেশে চলমান বন্যায় উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ৩২টি জেলার অন্তত ২৬১টি উপজেলা ও পৌরসভা কোনো না কোনোভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এসব এলাকায় নিবন্ধনকাজ পুরোদমে চালানো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ইসির জনসংযোগ শাখা সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে চলছে নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম। কখন কোন এলাকায় নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে তা এলাকায় মাইকিং করে জানানো হচ্ছে। এছাড়া হেল্প লাইন ১০৫ নম্বরে ফোন করেও এ সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৫শে নভেম্বর থেকে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃত ভোটারদের নাম বিদ্যমান তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে। ১৮ই ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকার জন্য মুদ্রণ কাজে সরবরাহ করা হবে। ২রা জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর দাবি-আপত্তি-নিষ্পত্তি শেষে ৩১শে জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ১৮ লাখের মতো ভোটার রয়েছে।