নির্দোষ নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করছে সরকার: জামায়াত

0
493
blank
blank

ঢাকা: মুন্সীগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আওয়ালকে গত শুক্রবার এবং ঢাকা দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার দোহার উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুর রহমান, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা পৌরসভা জামায়াতের আমির আফতাব উদ্দিন আহমাদ ও নেত্রকোণা জেলায় জামায়াতের পাঁচজন নেতা-কর্মীকে শনিবার গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানি আজ রোববার এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানির করার হীন উদ্দেশ্যেই সরকার জামায়াতের নির্দোষ নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন করার কারণেই সরকার জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের জেলে বন্দী করে রেখে কষ্ট দিচ্ছে। নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালিয়ে ইসলামী আন্দোলন কখনো দমন করা যায় না। বিনা দোষে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে সরকারের স্বৈরাচারী মানসিকতাই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। জনগণের ওপর স্বৈরশাসন চাপিয়ে দিয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা যায় না। কাজেই স্বৈরশাসন বন্ধ করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। তিনি সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। প্রতিবাদ : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ শনিবার কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে জাগৃতি প্রকাশনী ও শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে এবং ব্লগারদের ওপর হামলার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির খন্ডিত অংশকে দায়ী করে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তাকে ভিত্তিহীন মিথ্যা আখ্যায়িত করে তার তীর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াত।

রোববার জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আজাদ এক বিবৃতিতে বলেন, মাহবুব-উল-আলম হানিফের বক্তব্য ভিত্তিহীন মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওই সব ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো অঘটন ঘটলেই সে ব্যাপারে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করে তারা দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়। তাদের মিথ্যাচার হিটলারের তথ্যসচিব গোয়েবলসকেও হার মানায়। বারবার মিথ্যা বক্তব্য দেয়ার কারণে দেশবাসী এখন আর তাদের কথা বিশ্বাস করে না। জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফীন দীপনের হত্যা এবং শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক আহমেদুর রশিদ টুটুল ও অন্য দুইজন ব্লগার লেখকের ওপর হামলাসহ এ যাবত সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি।