নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে বসছে ইসি

0
446
blank
blank

ডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা আজ চূড়ান্ত হতে পারে। ইসি সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, আজ কমিশন বৈঠকে এই রোডম্যাপ নিয়ে পর্যালোচনা করে তা চূড়ান্ত হতে পারে। রোডম্যাপটি চূড়ান্ত করার পর তা ১৬ জুলাই বই আকারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রোডম্যাপে নির্বাচনী আইন ও বিধি সংশোধন, সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপসহ সাতটি বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, গত ২৩ মে মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা খসড়া রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। ওই সময়ে যে সাতটি বিষয় সিইসি উল্লেখ করেছেন, সেগুলোকে রোডম্যাপে প্রাধান্য দিয়ে আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে সিইসি ও কমিশনাররা কয়েক দফা বৈঠক করছেন।

ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়া হবে। পাশাপাশি নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের ওপর নিরীক্ষা চালানো হবে। আগামী নির্বাচনের আগে নতুন দলের নিবন্ধন দেওয়ার পাশাপাশি নিবন্ধিত দলগুলোর বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিবন্ধন বহাল বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন দেওয়া এবং আগে নিবন্ধিত দলগুলো বিধিবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কি-না, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগস্ট থেকে কার্যক্রম শুরু করে আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনী এলাকার সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হবে।

ইসির খসড়া কর্মপরিকল্পনায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৮ সালের জুনে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের কাজ শুরু হবে। ওই বছরের জুলাই মাসে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং তা স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হবে। একই বছরের আগস্টে খসড়া ভোটকেন্দ্রের ওপর দাবি বা আপত্তি গ্রহণ এবং তা নিষ্পত্তি করা হবে। ভোট গ্রহণের ৩৫ দিন আগে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ওই গেজেট নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৫ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি এ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া আগামী বছরের জুনে ৩০০ নির্বাচনী এলাকার জন্য ভোটার তালিকা মুদ্রণ, ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রণয়ন ও বিতরণ করা হবে।

এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনী আইন ও বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।