অনলাইন ডেস্ক: সম্প্রতি হয়ে গেল ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন টালিউড নায়িকা নুসরাত জাহান। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও প্রথমবার নির্বাচনে এসেই তার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিরোধী দল খুঁজছে এর যুক্তিসংগত কারণ। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে নুসরাতের জয়ী হওয়ার পেছনের গল্প।
ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময় তাদের একটি প্রতিবেদনে হাজির করেন বিজেপির নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতেই তারা নুসরাত জাহানকে ভোট দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের জয়ী হওয়ার পেছনে সংখ্যালঘু মুসলমানদের অবদান সবচেয়ে বেশি। কারণ সংখ্যালঘু মুসলমানরা মনে করছে একমাত্র তৃণমূলই পারে তাদের বাঁচাতে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুসলমানদের অভিবাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে নির্যাতন চালাতে পারে।
হাড়োয়ার আমিনপুর চকে ওই এলাকার ভোটার ইমানুল সর্দার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মনে ভয় নিয়ে দিনের পর দিন বাঁচা যায় নাকি! ইউপি, এমপি-তে কী করেছে বিজেপি দেখেছেন? ওদের ঠেকানোর জন্য তাই তৃণমূল ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার কথা মাথাতেই আসেনি।’
বাদুড়িয়া শেখপাড়ার নিয়ামত আলি মোল্লা বলেন, ‘এখানে বিজেপি জিতে গেলে আমাদের নিশ্চয়ই অনুপ্রবেশকারী বলে খেদিয়ে দিত। গোটা মহল্লা তাই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। যাক, এখানে অন্তত বিজেপি জিতে যায়নি।’
বসিরহাটের মুরারিশাহ চৌমাথার শেখ রাজু মণ্ডলের মনে আবার হর্ষ-বিষাদের মিশেল। বলছিলেন, ‘দিল্লিটা মোদী দখল করে নিল বটে। কিন্তু আল্লা মেহেরবান, এখানে তৃণমূল জিতেছে। নুসরাত না-জিতলে জিনা হারাম হয়ে যেত। হয়তো গুলি করেই মারত!’
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত লোকসভা কেন্দ্র বসিরহাট। এখানে ৪৮% মুসলিম ভোটার।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.