নেতিবাচক রাজনীতিই বিএনপির পরাজয়ের কারণ: কাদের

0
622
blank

ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী দল শক্তিশালী হোক, বড় সমাবেশ করুক সেটাই আমরা চাই। কারণ শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিএনপির নেতারা হতাশায় ভুগছেন এবং আবোল-তাবোল বলছেন। তাদের নেতিবাচক রাজনীতিই নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ নন, জনগণকে তারা কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করবেন? শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কমিটির তালিকা দলীয় দফতর ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। আর যেসব জেলায় কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এপ্রিলের মধ্যে সেগুলোর সম্মেলন শেষ করতে বলা হয়েছে।

আজ বিকাল ৪টায় ঢাকার দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়র ও ঢাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদের বৈঠকে বসবেন।

সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু দুর্বলতা অবশ্যই আছে। এটা উত্তরণের জন্য মহানগরে ওয়ার্ড, থানায় সম্মেলন করে কমিটি করা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলর ৯৮ জন, সংরক্ষিত ৩৪ জন। ১৬ জন বিদ্রোহী কাউন্সিলর বড় কোনো সংখ্যা নয়।

নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে সামগ্রিকভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা দরকার। আমাদের দলে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আগামী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। এ ধরনের ভুলত্রুটি ভবিষ্যতে এড়িয়ে আমরা পথ চলতে পারব।

বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্প্রতি রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহমান। এ মুক্তিযুদ্ধের দেশে সাম্প্রদায়িক ধারা ফিরিয়ে নেয়ার রাজনীতি চলবে না।

তিনি বলেন, এখনকার তরুণরা জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো আস্থাভাজন নেতৃত্বে বিশ্বাসী। বিএনপি যতদিন সাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গিবাদী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতাকে লালন-পালন করবে, তাদের এ নেতিবাচক ধারার কারণে আন্দোলনেও তারা বিজয়ী হবে না, নির্বাচনে বিজয়ী হবে না।

বৈঠক সূত্র জানায়, সহযোগী সংগঠন মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ ও তাঁতীলীগের সম্মেলন করতে ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দিয়েছেন।