পরীক্ষায় অনিয়ম করলে কেন্দ্রের অনুমোদন বাতিল করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

0
486
blank

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, পরীক্ষায় কোন শিক্ষক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হলে ওই শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করা হবে। তিনি বলেন, কোন শিক্ষক কেন্দ্রে পরীক্ষায় অনিয়ম করলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই প্যাকেট খুলে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করলে ওই শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্র ও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনও বাতিল করা হবে।

বুধবার বিকেলে বিজি প্রেসে ২০১৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নকলমুক্ত, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানো রোধ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র নিরাপদ রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং আন্তরিকতায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীরা ভুঁয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সাথে প্রতারণা করছে। অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু মানুষ প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে বিভ্রান্তি ছড়ায়। তিনি শিক্ষার্থীদের এসবের পেছনে না ঘুরে পড়াশুনায় মনযোগী হওয়ার আহবান জানান। সকলকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে জালিয়াতরা যাতে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য মন্ত্রী বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিজি প্রেস কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও কোচিং ব্যবসায়ীদের নজরদারীর মধ্যে রেখেছে। যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করবে তাদের কোন ভাবেই রেহাই দেয়া হবে না। সভায় গোয়েন্দা পুলিশের কমিশনার শেখ নাজমুল আলম জানান, ফেইসবুকের মাধ্যমে এ পর্যন্ত যত প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে তার সবই ভুঁয়া। একটি চক্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করতে এবং সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে এসব করে থাকে। সভায় কোচিং সেন্টারকে এক সপ্তাহ আগে থেকে নজরদারিতে রাখা, পরীক্ষার সময় কেন্দ্রের ৫শ’ গজের মধ্যে ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখা এবং প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজে নিয়োজিতদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুনা বিশ্বাস ও অশোক কুমার বিশ্বাস, বিজি প্রেসের মহাপরিচালক একেএম মাঞ্জুরুল হক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু বকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি, আইন-শৃংখলা বাহিনী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।