পাকিস্তান কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে: তারানা হালিম

0
449
blank
ফাইল ছবি
blank

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, সিমলা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার কথা কিন্তু তাদের বিচার না করে পাকিস্তান সমস্ত কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা।

তারানা হালিম বলেন, “আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রের কোন ধরনের বক্তব্য দেওয়ার নৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক অধিকার নেই।

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পৃথিবীর কোন দেশের বক্তব্য দেওয়ার কোন নৈতিক অধিকার নেই বলে জানিয়েছেন।

তারানা বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রের কোন ধরণের বক্তব্য দেওবার নৈতিক, রাষ্ট্রিয় ও সামাজিক অধিকার নেই। এ সময় পাকিস্তানি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিও করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিম। তিনি বলেন, প্রয়োজনে পাকিস্তানের ভিসা নিয়ে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর সন্তানদের কাছে কুকীর্তির কথা তুলে ধরতে হবে। পাকিস্তানে আদর্শ পিতা তাদেরও কুকর্ম সবাইকে জানাতে হবে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের আদর্শ নিজেদের পকেটের মধ্যে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা কর্মীদের কোন আদর্শ নেই। তাদের আদর্শ পকেটের ভিতরে। বিএনপি যে ক্ষমতায় যেতে পারবে না- এমন আভাস নেতাকর্মীরা একাধিকবার পেয়েছেন। কিন্তু তারপরও তারা নেত্রীর কাছে যায় না।

বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া কোন দিন পাকিস্তানি হানাদার, রাজাকার, আলবদর, আল শামস বলেন না। বরং তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে দখলদার ও দোসর লেখেন। খালেদা জিয়া কোন লজ্জায় পাকিস্তানি হানাদার, রাজাকার, আলবদর, আল শামস বলতে পারেন না এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বঙ্গমাতা পরিষদ সোনালী ব্যাংক শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুল খালেক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ সম্পাদক এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।