পাসপোর্ট না থাকায় বাংলাদেশ বিমানের পাইলটকে আটকে দিল কাতার

0
612
blank

ঢাকা: সঙ্গে পাসপোর্ট না থাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক পাইলটকে আটকে দিয়েছে কাতার ইমিগ্রেশন।গতকাল বুধবার রাতে দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই পাইলটের নাম ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ।

তিনি এখন দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে অবস্থান করছেন। আরেকটি বেসরকারি ফ্লাইটে তার পাসপোর্ট পাঠিয়ে দেশে আনার চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গতকাল বুধবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়।

বিশেষ এই বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান, যেটি ধরা পড়ে কাতার ইমিগ্রেশনে। পরে তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে রাখা হয়। আইন অনুযায়ী, পাসপোর্ট ছাড়া কারো দেশত্যাগ কিংবা অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই।

ফজল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনকে জানান, তার পাসপোর্ট বিমানের ফ্লাইট অপারেশন রুমের লকারে। পরে বিমানের নিরাপত্তা মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করি হয়।

তিনি জানান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন জামিল আহমেদের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি পাসপোর্ট উদ্ধার করেন এবং পাসপোর্ট কাতারে পাঠানোর উদ্যোগ নেন।

বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানোর চেষ্টা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু কাতার এয়ারলাইন্স জানায়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া একজনের পাসপোর্ট্‌ বহনের নিয়ম নেই।

পরে রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট কাতার পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। রিজেন্ট এয়ারলাইন্সও ওই পাসপোর্ট বহনে অস্বীকৃতি জানায়।

এদিকে পাসপোর্ট ছাড়া একজন পাইলট কীভাবে নিজ দেশের ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিদেশ গেলেন এটি নিয়ে তোলপাড় চলছে। আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ছাড়া দেশত্যাগ ও অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহিবুল হক বলেন, বিষয়টি ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের ব্যক্তিগত গাফিলতি। তিনি দেশে ফিরে আসার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভিভিআইপিকে বহন করতে যাওয়া কোনো ফ্লাইটের কোনো পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়া ঠিক হয়নি। এটি বড় ধরণের অপরাধ। দেশে আসার পর তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ফজল মাহমুদ ড্রিমলাইনারের একজন ইনস্ট্রাকটরের দায়িত্বও পালন করছেন। আগামী ৮ জুন দোহা বিমানবন্দর হয়ে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তাকে বহন করতে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনার বর্তমানে কাতার অবস্থান করছে।