পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

0
969
blank

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার উন্নত অর্থনীতি গড়ে তোলার অন্যতম পূর্বশর্ত। একটি স্থিতিশীল, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও জাতীয় অর্থনীতিতে যথেষ্ট অবদান সৃষ্টিকারী এক পুঁজিবাজারের জন্য আমরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এক্সচেঞ্জ ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে লেনদেন, কারচুপি, অনিয়ম শনাক্তকরণ ও যথাযথ নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের সশস্ত্র বাহিনী। কাজেই তাদের আরো গণমুখী এবং আরো শক্তিশালী যাতে হয়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। কুমিল্লা, কাদিরাবাদ, সৈয়দপুর মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সাভার ও জালালাবাদ সেনানিবাসে আর্মি স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গঠন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ পুরস্কার পায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এখন একটা সম্মানজনক অবস্থানে আছে, যে কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, বাংলাদেশের জনগণের জন্য পুরস্কার নিয়ে আসি। বক্তব্যের একপর্যায়ে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের কবিতা পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মাননীয় স্পিকার, আমাদের বিরোধীদলীয় নেতা অনেকগুলো কবিতা আওড়েছেন। সেটা, আমি উনাকে স্বাগত জানাই। শুধু একটা কবিতার ব্যাপারে আমি একটুখানি বলতে চাই। উনি বললেন, বুঝি গো, আমি বুঝিগো ছলনা, কী তুমি বলিতে চাও, আমি বুঝি না। এটা বোধ হয় উনার বাঁ দিকে যিনি (জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ) বসে আছেন, তার দিকে তাকিয়ে বললে ভালো হতো। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর উচ্চকিত হাসিতে মেতে ওঠেন সাংসদরা। আর জোরে জোরে চাপড়াতে থাকেন টেবিল। ওই সময় রওশন এরশাদের বাঁ দিকে থাকা এইচ এম এরশাদও হাসেন।

জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর থেকে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের স্থান হবে না। আর বাংলার মাটি ব্যবহার করে কেউ কোনো জঙ্গি তৎপরতা অন্য কোথাও চালাতে পারবে না। এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট শক্ত ভূমিকা নিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, যে লোকটা একজন কলেজশিক্ষককে মারতে গিয়ে জনগণের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে, তার জন্য খালেদা জিয়ার এত মায়াকান্না কেন এটা আমার একটা প্রশ্ন। তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে? ওই হাঁড়ির ভাত সিদ্ধ হলো কি না, একটা টিপলেই বোঝা যায়। ওই ঘটনা থেকেই বোঝা যায়, গুপ্তহত্যার সঙ্গে তাদের যে একটা সম্পর্ক রয়েছে। এবং প্রকাশ্যে করে যখন তারা জনগণের রুদ্ররোষের সম্মুখীন হয়েছে, এখন এই গুপ্তপথে এই সমস্ত ঘটনা তারা ঘটিয়ে দেশে একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে।