পোলিং এজেন্ট নিয়ে বিপাকে কামরান-আরিফ, সুবিধাজনক জুবায়ের

0
662
blank
blank

নিউজ ডেস্ক: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট চূড়ান্ত করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগের কামরান ও বিএনপির আরিফ। তবে দুই দলের সমস্যা ভিন্ন। বিএনপির ভয় গ্রেপ্তার আর হয়রানিতে। আর আওয়ামী লীগের ভয় আস্থার সঙ্কটে। এক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন সিলেট নাগরিক কমিটি মনোনীত প্রার্থী মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তাঁর আস্থার সঙ্কট নেই, গ্রেপ্তারের ভয়ও তেমন নেই। তাঁর একদল দক্ষ ও সাহসী কর্মীবাহিনী রয়েছে। যারা সংগঠনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।

আগামীকাল সোমবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১৩৪ টি কেন্দ্রের ৯২৬ টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। ফলে প্রত্যেক মেয়র প্রার্থী ৯২৬ জন করে করে পোলিং এজেন্ট প্রদান করতে পারবেন। তবে এখন পর্যন্ত সিলেটের কোনো মেয়রপ্রার্থীই নিজেদের এজেন্টদের তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তার জমা দেননি।

সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের গণমাধ্যম কর্মকর্তা প্রলয় চন্দ্র সাহা জানান, এখন পর্যন্ত কোনো মেয়র প্রার্থী তাদের পোলিং এজেন্টদের তালিকা জমা দেননি। তালিকা নির্বাচনের দিন সকালেই প্রদান করা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের কাছে আগেভাগেই তালিকাগুলো চেয়েছিলাম। কারণ পরে অনেকেই তাদের এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। আগে তালিকা পেলে এই বিষয়গুলো দেখভাল করতে পারতাম।

তবে গ্রেপ্তার আর মামলা আতঙ্কে এখন পর্যন্ত এজেন্টদের তালিকাই চূড়ান্ত করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। তাদের আশঙ্কা তালিকা চূড়ান্ত করলে এই তালিকা ধরে ধরে গ্রেপ্তার ও হয়রানি হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের। মামলার কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে বিএনপির মধ্যে। ফলে এজেন্টদের তালিকাও তৈরি করতে পারছে না তারা।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান পড়েছেন আস্থা ও বিশ্বাসের সমস্যায়। ২০১৩ সালের নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ছিলেন তিনি। তখনও তাঁর দল ক্ষমতায় ছিলো। কিন্তু ভোটের দিন দেখা গেছে, অনেক কেন্দ্রেই কামরানের এজেন্ট নেই। অভিযোগ আছে, সেবার দলের অনেক নেতাই কামরানের বিরুদ্ধে ছিলেন। ওইসব নেতারা নিজেদের অনুসারীদের বিভিন্ন কেন্দ্রে এজেন্ট করলেও ভোটের দিন তারা হাজির হননি।

এবার আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ঐক্যবদ্ধভাবেই মাঠে নেমেছে কামরানের পক্ষে। তবে এবারও আড়ালে দলটির শীর্ষ অনেক নেতাই কামরানের বিরুদ্ধাচারণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে এখন পর্যন্ত কামরানের পক্ষে মাঠে দেখা যায়নি। ফলে এবার অনেক হিসেব কষেই এজেন্ট চূড়ান্ত করতে হচ্ছে কামরানকে।

তবে পোলিং এজন্ট নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই নাগরিক কমিটির প্রার্থী ও মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন,  আমাদের এজেন্ট দেয়ার মত পর্যাপ্ত জনশক্তি আছেন। আমাদের এজেন্ট তালিকা প্রস্তুত আছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠুই দেখা যাচ্ছে। আশা করছি, এজেন্টদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ হবে।