প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যাচার করছেন: রিজভী

0
454
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান `ভোটারবিহীন’ সরকারকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিএনপির বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যাচার করছেন। তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন, গতকালও চাঁদপুরে সরকারি টাকা ব্যয়ে জনসভা করে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন যা আইনের সুষ্পষ্ট লংঘন।

এদিকে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় এবং দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা সদরে বিএনপি ঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে আমি দলের পক্ষ থেকে আহবান জানান রিজভী।

সোমবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আপনারা দেখেছেন গত দুদিন আগে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। দুটি নির্বাচনই দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের যে প্রান্তেই নৌকার পক্ষে ভোট চান না কেনো তা ঘোষিত তফসিলের মধ্যে পড়ে। এবং সেটা নির্বাচন আচরণ বিধিমালার সুষ্পষ্ট লংঘন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর বন্দুকের নলই হচ্ছে তাঁর ক্ষমতার ভিত্তি, তাই তিনি সব কিছুই করতে চাচ্ছেন হুংকার আর ধমক দিয়ে। সকল আইন, নিয়ম নীতি ভেঙ্গে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন’।

রিজভী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দশে বলেন, তিনি বলেছেন ভোট চাওয়া তাঁর রাজনৈতিক অধিকার তাহলে দলের সভানেত্রী হিসেবে ভোট না চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভোট চাচ্ছেন কেনো? প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, সরকারি টাকা খরচ করে, সরকারি হেলিকপ্টার নিয়ে সরকারী সার্কিট হাউস ব্যবহার করে এবং গন্তব্যস্থলে সরকারী গাড়ী ব্যবহার করে, সরকারী সকল প্রটোকল নিয়ে ভোট চাওয়া কোন ধরণের রাজনৈতিক অধিকার জনগণ তা জানতে চায়।

রিজভী বলেন, এসব দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, কিন্তু ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী আইন ভঙ্গের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ‘রিপভ্যান উইংকেল’ এর মতো দীর্ঘ নিদ্রায় শায়িত থাকে। যে প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয় তাঁর মুখে ভোট চাওয়া জনগণের সাথে ইয়ার্কি-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, এই সরকারের না প্রধানমন্ত্রী, না জাতীয় সংসদের স্পীকার, না তথাকথিত বিরোধী দলের নেত্রী কেউই জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা কেউই নিজেরা নিজেদেরকে ভোট দিতে যায়নি। ওদের কাছে জনগণ একটি আতঙ্কের নাম। আর এই কারণেই অনাচারের ওপর নির্ভর করে দেশ চালাচ্ছে। জবাবদিহিতা নেই বলেই এদের আমলে ঘটেছে বৃহত্তর আর্থিক কেলেঙ্কারী।

রিজভীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিসহ ছাত্র-যুবক-শ্রমিক-পেশাজীবী-মানবাধিকার কর্মী গুম হয়েছেন অজানা রাজ্যে। আইনবহির্ভূতভাবে হত্যা লীলায় সারা বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে করা হয়েছে আওয়ামী ইশতেহারের অধীন। দমনের খড়গ ঝুলিয়ে গণমাধ্যমের সকল আলো প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র নিজের দিকেই টেনে নিয়েছেন।