প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি স্পর্শই করতে পারেনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
493
blank
blank

ঢাবি: ‘আপনাদের (বিএনপির) সময় দেশ পর পর চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, পঞ্চমবার হয়েছে দ্বিতীয়। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি স্পর্শই করতে পারেনি। কোনো দেশেই তার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়নি। এমন সৎ হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়নের জন্য ন্যায়, নিষ্ঠা ও সততার প্রয়োজন। যা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্বাধীনতা চত্বরে ‘আলোক চিত্রে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন প্রমুখ।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আপনারা কখনও বিভক্তিতে ভুগবেন না। কখনও দুষ্কর্ম করবেন না। যারা এমন করেন তাদের ব্যাপারে সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন জানি। কিন্তু দয়া করে আপনারা কেউ এমন কাজ করবেন না। আপনারা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করবেন।

বঙ্গবন্ধু মাথা নত করে কখনো দাবি মেনে নেয়নি, আন্দোলন করে দাবি আদায় করেছেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে উন্নয়নশীল দেশের উদাহরণ আরো আগেই আমরা দিতে পারতাম। বঙ্গবন্ধু খুব কম সময়েই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল করে গড়ে তুলতেন। যে মানুষটি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, তাকেও ষড়যন্ত্রকারীরা রেহাই দেয়নি। আজও সেই ষড়যন্ত্র চলছে। শেখ হাসিনা যদি বেঁচে না থাকেন তাহলে দেশ অন্ধকারে চলে যাবে। আমরা আর অন্ধকারে যেতে চাই না। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যেতে চাই।

বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ এবং রিজভী আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা রিজভী বললেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতির উদযাপনে নাকি বিকৃত আনন্দ উৎসব। সারা বাংলাদেশ যখন এ আনন্দ উৎসব উৎযাপন করছে, তখন তিনি বলছেন বিকৃত আনন্দ উৎসব! আরেক নেতা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশ নাকি আরও আগে হয়ে যেত? কীভাবে হতো? ইতিহাসের দিকে একটু তাকান। আপনাদের সময় দেশ পরপর চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, পঞ্চমবার হয়েছে দ্বিতীয়। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি স্পর্শই করতে পারেনি।