রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর): রামগঞ্জ ফতেহপুর জে ইউ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে পিটিয়ে আহত করেছেন একই মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও যুবলীগ নেতা রাকিবুল হাসান মাসুদ। সৃষ্ট ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতি বুধবার দুপুরে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষকে মারধর করেন। বর্তমানে অধ্যক্ষ রামগঞ্জ ফেমাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে।
অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, বিগত সময় থেকে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগ নেতা রাকিবুল হাসান মাসুদ মাদ্রাসার বিভিন্ন বিষয়ে বাধা দেয়ার কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা আটকিয়ে রাখারও অভিযোগ করেন কয়েকজন শিক্ষক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ৮মার্চ দেয়ার কথা থাকলেও সভাপতি স্বাক্ষর না দেয়ায় বেতন উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। সমাধানে অধ্যক্ষ বার বার সভাপতিকে মোবাইলে কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি। বিষয়টি তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
বুধবার দুপুরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও অফিস সহকারী নুর হোসেনকে বেতন বইতে স্বাক্ষর করার কথা বলে সভাপতি রাকিবুল হাসান মাসুদ তার বাড়িতে ডেকে নেন। এসময় সভাপতি অফিস সহকারী নুর হোসেনকে মাদ্রাসায় চলে যেতে বলেন। কিছুক্ষণ পরেই আবুল কালাম আজাদকে চড়-থাপ্পড়, পিটিয়ে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন সভাপতি। কয়েক মিনিট পর অধ্যক্ষ মাদ্রাসায় এসে সকল শিক্ষকদের বিষয়টি জানানোর এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাকে রামগঞ্জ ফেমাস হসপিটালে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, আমি লামনগর একাডেমির ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে এসেছি। বিষয়টি উপাধ্যক্ষ সাহেব আমাকে মোবাইলে অবগত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু ইউসুফ জানান, একজন অধ্যক্ষের গায়ে হাত তোলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না, এটা দুঃখজনক। মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক আমার সাথে দেখা করেছেন। এছাড়া শিক্ষকদের বেতন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না দিয়ে আটকিয়ে রাখা সভাপতির কাজ নয়।
রাকিবুল হাসান মাসুদ জানান, অফিসে সিসি ক্যামেরা আছে আমি অধ্যক্ষকে কিছুই করিনি। উনি অজ্ঞান হওয়ায় আমি তাকে উদ্ধার করে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছি।
সূূত্র: ইত্তেফাক