ফেব্রুয়ারির মধ্যে মূর্তি অপসারণ না করলে কঠোর আন্দোলন

0
564
blank
blank

ঢাকা: সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবির মূর্তি অপসারণের দাবিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ স্মারকলিপি দেয় তারা। প্রধান বিচারপতির পক্ষে আতিকুস সামাদ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
তবে বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে মিছিল সহকারে স্মারকলিপি দিতে গেলে পল্টন মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সেখান থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে যায়।
সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান ও ছাত্রনেতা জিএম রুহুল আমীন প্রমুখ।
এদিকে স্মারকলিপি পেশ উপলক্ষে সকালে বায়তুল মোকাররমের সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মূর্তি অপসারণ না করলে মার্চ থেকে দেশময় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরো বলেন, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবি থেমিসের মূর্তি স্থাপন করে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান জনগোষ্ঠীর অন্তরে চরমভাবে আঘাত। মূর্তি নির্মাণ, সংরক্ষণ ও সম্মান করা হারাম। রাসূল সা. বলেছেন, আমি আবির্ভূত হয়েছি মূর্তি ও বাদ্যযন্ত্র ধ্বংসের জন্য। কাজেই সর্বোচ্চ বিচারালয়ে গ্রীক দেবির মূর্তি স্থাপনের ফলে দেশের বৃহত্তর ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। ফলে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, ছাত্রনেতা জিএম রুহুল আমীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা শেখ নূরউন নাবী, প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন পরশ, মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, নকীভ বিন হুসাইন, ফরিদ দেওয়ান, ছাত্রনেতা সাইফ মুহাম্মদ সালমান, কেএম শরীফুল ইসলাম, এহতেশামুল হক পাঠান প্রমুখ।