বজ্রপাতে কিশোরগঞ্জ ও বাগেরহাটে নিহত ৭

0
596
blank

ঢাকা : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সারাদেশে ঝড়োবৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ছয়জন এবং বাগেরহাটে ঝড়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার দুপুরের দিকে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় ব্রজপাতে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর বাগেরহাটের সদর উপজেলায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়।

কিশোরগঞ্জে নিহতরা হলেন ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাটুইর গ্রামের রাখেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস, মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন, একই উপজেলার কেওয়াজোড় ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া। আর পাকুন্দিয়ার তিনজন হলেন উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের হালিম উদ্দিনের কন্যা নূর নাহার, একই গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে মজিবুর রহমান এবং সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের আয়েছ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া।

এলাকাবাসী জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার দুপুরের দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া বয়ে যায়। এ সময় মাঠে কাজ করার সময় পাকুন্দিয়া, ইটনা ও মিঠামইনে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

এদিকে ফণীর প্রভাবে বাগেরহাটে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে শাহানুর বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রনজিৎপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহানুর বেগম রনজিত্পুর গ্রামের মোজাহার হাওলাদারের স্ত্রী।

৪৩ বছরের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী ইতিমধ্যে ভারতের উড়িষায় আঘাত হেনেছে। এটি পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে আঘাত করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।