বর্তমান শাসন ব্যবস্থা সংস্কার প্রয়োজন: সুজন

0
605
blank
blank

সিলেট : সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘সুজন মনে করে মানব সেবার সর্বোকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে রাজনীতি। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন। আর এজন্য প্রয়োজন সুস্থ ধারার রাজনীতি তথা আদর্শভিত্তিক জনকল্যাণমূখী রাজনীতি।’

শনিবার বিকেলে সুজন সিলেট জেলা শাখা আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংষ্কার ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান শাসন ব্যবস্থা ভঙ্গুর। এজন্য শাসন ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সবার স্বদিচ্ছা থাকতে হবে। স্বদিচ্ছা ছাড়া কোনো কিছুর উন্নয়ন হবে না।

সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত গোল টেবিল বৈঠকে ড. বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, ‘রাজনীতিবীদদের গতানুগতিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা হলেই নাগরিকদের ভাবনার প্রতিফলন ঘটবে।’

সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদার পরিচালনায় আলোচনায় শুরুতে প্রবন্ধ পাঠ করেন সুজনের প্রধান সমন্বয়কারী দিলিপ কুমার সরকার। আলোচনায় অংশ নেন- বিএমএ’র সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডা. শামীমুর রহমান, শাবির অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম, দৈনিক উত্তরপূর্বের নির্বাহী সম্পাদক তাপস দাস পুরকায়স্থ, সিনিয়র আইনজীবী বেদানন্দ ভট্রাচার্য, সুজনের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দা শিরীন আক্তার, অ্যাডভোকেট ইরফানুজ্জামান, সনাকের সহ সভাপতি সমিক শহীদ জাহান, কবি একে শেরাম, শাবি শিক্ষক আবুল কাশেম উজ্জল, জায়েদা শারমিন সাথী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, অনলাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান শাহ দিদার আলম নবেল, সাংবাদিক মুক্তাদির আহমদ মুক্তা প্রমুখ।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, রাজনীতি সংস্কৃতির সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি কার্যকর করতে হবে জাতীয় সংসদকেও। আর তা না করতে পারলে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে না। বক্তারা বিরোাধী দল ছাড়া গণতন্ত্র হয়না উল্লেখ করে বলেন, নিয়ম রক্ষার জন্য বিরেধী দলের প্রয়োজন নেই।

বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারের ১৮টি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন, নির্বাচনী সংস্কার, কার্যকর জাতীয় সংসদ, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন: স্বাধীন বিচার বিভাগ, সাংবিধানিক সংস্কার, স্বাধীন বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, দুর্নীতি বিরোধী সর্বাত্মক অভিযান, বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, শক্তিশালী নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার সংরক্ষণ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, আর্থিক খাতের সংস্কার ইত্যাদি।