ঢাকা: গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আজ আমাদের ভাই মারা যাচ্ছে, অপর ভাই বলছে আমার কি করার আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তরুণরা এমন কথা বললে আজকের বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তারা সাহস করে এগিয়ে এসেছিল, প্রতিবাদ করেছিল বলেই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। শনিবার রাজধানীর আরামবাগে গণফোরাম কার্যালয়ে যুব গণফোরামের এক বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, আজ যুবকরা সবাই বলছে আমি যেন জাতীয় এই দুর্যোগ মুহূর্তে কোনো দিকনির্দেশনা দেই। কিন্তু আমার কোনো নির্দেশনা নেই। সব নির্দেশনা সংবিধানেই দেয়া আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যুবকরা কেন নিজের জীবন দিয়েছিল এটা জানলেই দিকনির্দেশনা পেয়ে যাবে। তিনি বলেন, আজকের মতো তখনকার যুবকরা চুপ থাকলে রাষ্ট্রভাষা বাংলারও জন্ম হতো না। তখন ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়া ছাত্ররাও সবাই বের হয়ে গেল। আর ঘরে ফেরেনি। তখন যদি ওই সব যুবক ঘরে ফিরে যেত তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। এভাবে সব সময়ই দেশের ক্রান্তিলগ্নে যুবকরা এগিয়ে এসেছে। এখন যে জাতীয় দুর্যোগ চলছে এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে যুবকদেরই বের হতে হবে সবার আগে। তিনি আরো বলেন, যুব সমাজকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ভূমিকা রাখতে হবে এবং অর্থপূর্ণ কিছু করতে হবে। মায়ের অসুখ হলে সন্তানরা তার চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। দেশ মাতৃকা আমাদের মা। এই মা এখন অসুস্থ। তাকে বাঁচানোর জন্য আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। যে বাংলাদেশ আমরা অনেক কষ্ট করে পেয়েছি তাকে কোনোভাবেই জঙ্গিবাদের ধোয়ায় ধ্বংস হতে দেব না। হাজার বছর ধরে যে দেশ নিয়ে আমরা গর্ব করে আসছি তাকে আমরা অসভ্য হতে দেব না। যুব গণফোরামের আহ্বায়ক কাজী হাবীবের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, যুব সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী, যুব গণফোরামের সদস্য সচিব মোস্তাক হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইসমাইল, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক নাজিম মাহমুদ রোমেল প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.