বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার সময় এসেছে: প্রধানমন্ত্রী

0
675
blank

ঢাকা: চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত ৪৭তম ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনের নানাদিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিগত একদশক ধরে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকায় বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশকে নিয়ে আশাবাদী। বাংলাদেশকে যথাযথভাবে ব্র্যান্ডিং করার সময় এসেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে টেবিলে উত্থাপিত নুরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, এজন্য আমি বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ সুবিধা ও পরিবেশের কথা তুলে ধরে বিদেশি বিনিয়োকারীদের বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগে উৎসাহী করতে ডব্লিউইএফ চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছি। ডব্লিউইএফ-এর সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান অর্থনীতিকেন্দ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষিত বিবেচনায় ডব্লিউইএফ ফোরামে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য সুদূরপ্রসারী সুফল বয়ে আনবে। সম্মেলনে আমাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী করা সম্ভব হয়েছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সার্বিক বিবেচনায় এ সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে।
শেখ হাসিনা জানান, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে, বিশেষ করে অর্থনীতি ও বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং অভিবাসনসহ নানা ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের একটি স্বতন্ত্র এবং বলিষ্ট অবস্থান তৈরি হয়েছে। বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে নীতি নির্ধারণী এ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে উচ্চতর সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ডব্লিউইএফ-এর এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৬০টি দেশের রাষ্ট্র/সরকার প্রধানসহ জাতিসংঘের নবনিযুক্ত মহাসচিব ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানসহ অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণের অংশগ্রহণের পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে এ সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ আরও সৃদৃঢ় করার লক্ষ্যে ডব্লিউইএফ বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে একটি উদার গণতান্ত্রিক ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে আরও একবার তুলে ধরার সুযোগ হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের রফতানি বান্ধব নীতি ও সফল বাণিজ্যিক অর্থনীতির কারণে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে এবং এই সুবিধা বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাকের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় দেশসমূহে বিপণন মিশন প্রেরণ এবং দেশে-বিদেশে আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজনের অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখা হচ্ছে।