বাংলাদেশে আর সামরিক শাসন আসবে না: প্রধান বিচারপতি

0
843
blank
blank

নিউইয়র্ক: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) বলেছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারায় বাংলাদেশে আর কখনও সামরিক শাসন আসবে না। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন বলেই মার্শাল ল’ আর কখনও বাংলাদেশের মানুষের ওপর চেপে বসার সুযোগ পাবে না। আইন বিভাগ মার্শাল ল’কে চিরতরে কবর দিতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এখন কোনো কিছুই চেপে রাখা সম্ভব নয়। মিডিয়াগুলো সোচ্চার থাকায় আমরাও সঠিকভাবে কাজ করে তৃপ্তি পাচ্ছি।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, শাসন বিভাগের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই বাংলাদেশে বিচার বিভাগ কাজ করছে। রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ায় ক্লাব সনমে বাংলাদেশ ল’ সোসাইটি আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এনা সূত্রে এ খবর জানা জায়। এনা জানায়, প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশী-আমেরিকান আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল’ সোসাইটি ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার ও বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক এ মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আগে সবাই বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক সরকারের অঙ্গ হিসেবে মনে করতেন। প্রকৃত অর্থে বিচার বিভাগ হচ্ছে রাষ্ট্রের অঙ্গ এবং এখন হান্ড্রেড পার্সেন্ট স্বাধীনতা নিয়ে বিচার বিভাগ কাজ করছে। সরকারের কোনো পর্যায় থেকেই কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের ঘটনা নেই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধসহ স্পর্শকাতর সব মামলা আইন অনুযায়ীই পরিচালিত হচ্ছে।

বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে না বলে যারা অভিযোগ করছেন, তাদের বক্তব্য ‘রাজনৈতিক’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে অনেকে বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নের অবতারণা করছেন। যদিও সেই রাজনীতিকরাও পুরো সুবিধা পাচ্ছেন নিজেদের মামলাতে, এটি সর্বজনবিদিত।’

রাষ্ট্রের অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো বিচার বিভাগেও ‘কিছু দুর্নীতি’ রয়েছে স্বীকার করে তা নির্মূলে কাজ চলছে বলে প্রবাসীদের জানান প্রধান বিচারপতি। বিভিন্ন সেক্টরের মতো বিচার বিভাগেও এখনও কিছু দুর্নীতি রয়েছে। এটি অস্বীকারের উপায় নেই। তবে এর অবসানে আমরা সবাই আন্তরিক অর্থেই সচেষ্ট। মামলাজট খুলতেও নিজের তৎপরতার কথা জানান বিচারপতি সিনহা।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি আবুল তারেক, বিচারপতি এমআর হাসান, সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, আইনজীবী অশোক কর্মকার, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান।