‘বাংলাদেশ সার্বভৌম সম্পদ তহবিল’ গঠন করতে যাচ্ছে সরকার

0
451
blank
blank

ঢাকা: ‘বাংলাদেশ সার্বভৌম সম্পদ তহবিল’ গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। এতে রিজার্ভের ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত এক বৈঠকে ‘বাংলাদেশ সার্বভৌম সম্পদ তহবিল’ গঠনের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে ‘বাংলাদেশ সার্বভৌম সম্পদ তহবিল’ গঠনে ১০ বিলিয়ন ডলার অনুমোদনের কথা জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ছাড়াও যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে এ তহবিলের অর্থ ব্যবহার করা যাবে।
তহবিল গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিদেশী রিজার্ভ কাজে লাগানোর চিন্তা থেকে এ তহবিল করা হচ্ছে। এর অনুমোদিত মূলধন হবে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রাথমিকভাবে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে এটা শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ যদি ৩০-৩২ বিলিয়ন ডলার হয় সেখান থেকে আমরা যদি ২ বিলিয়ন ডলার নেই তবে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। আমাদের অর্থনীতিতে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘বাংলাদেশ সার্বভৌম সম্পদ তহবিল’ গঠনে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার করে ৫ বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার সংস্থান করা হবে।
এমন তহবিল গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই এ ধরণের তহবিল আছে। এটা আমাদের প্রয়োজন হয় যখন আমরা বিদেশীদের সঙ্গে ম্যাচিং ফান্ড করি, আমাদের ডলার দিতে হয়। জেডিসিএফ (জাপানি ঋণ মওকুফ সহায়তা তহবিল), ইসিএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বর্ধিত ঋণ সহায়তা) বা কোনো বিদেশী ব্যাংক আমাদের লোন দিল, বলা হল ওটার সঙ্গে সরকার সমপরিমাণ ডলার দেবে। তখন এটার সাপোর্ট দেয়ার জন্য আমাদের কোনো ব্যবস্থা থাকে না।
শফিউল আলমস আরো বলেন, এছাড়া এ তহবিলের বহুমুখী ব্যবহার হতে পারে। সরকার জনস্বার্থে যেকোনো বিনিয়োগে ব্যবহার করতে পারবে। এটা থেকে অবকাঠামো নির্মাণও করা যাবে। সকল ইমার্জেন্সিও মিটআপ করতে পারব।